কাশ্মীর নির্বাচনে জামায়াতের অংশগ্রহণ, মুখ খুললেন ওমর আবদুল্লাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
ছবি সংগৃহীত
ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ ৩৭ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে জামায়াত–ই–ইসলামীর। নির্বাচনে জামায়াতের অংশগ্রহণকে ‘ভালো বিষয়’ বলে অভিহিত করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
একইসঙ্গে একসময়ের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলটির দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সক্রিয় রাজনীতিতে জামায়াতের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে ওমর বলেছেন, জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করতে হবে ‘কেন তাদের হাতে এত রক্ত’।
শুক্রবার এনডিটিভিকে ওমর বলেন, ‘কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় রক্তস্নান করে কী অর্জন হলো? এত বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, হাজার হাজার প্রাণ হারিয়েছে। তাদের কারণে আমাদের কবরস্থান পূর্ণ হয়ে গেছে।’
২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। ফলে এই রাজ্যটি
দিল্লির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সেই বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামায়াতকে কেন্দ্রীয় সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর কাশ্মীর ‘শান্তির নিকেতন’ হয়ে উঠেছে বলে দাবি করে আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অনেকে মনে করছে, কাশ্মীরের প্রধান দুই দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের শক্তি খর্ব করতে চায় দিল্লি। কংগ্রেসের প্রভাবও কমাতে চায় বিজেপি। এ কারণে জামায়াতকে ভোটের লড়াইয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া জামায়াতকে রাষ্ট্রীয় অনুগত করে তুলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্তিহীন করার প্রয়াসও এটি।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় মতে, এই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার ভোট করাতে হবে। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভোটে জামায়াত শেষবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ১৯৮৭ সালে। সেই ভোটে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল।
এরপর প্রকাশ্যে রাজনীতি থেকে সরে সংঘাত এবং লড়াইয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ে জামায়াত। ১৯৯৮ সালে জামায়াত ঘোষণা দিয়ে সহিংস আন্দোলন থেকে সরে আসে।