অজ্ঞাতনামা ড্রোনের হামলায় বিভ্রান্ত ইসরাইলি বাহিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
ইসরাইল, সিরিয়া এবং জর্ডানের ত্রি-দেশিয় সীমান্ত অঞ্চলের কাছে পূর্ব দিক থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের আকাশসীমায় একটি অজ্ঞাতনামা ড্রোনের অনুপ্রবেশের তদন্ত করছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।
সোমবার ইসরাইলি মিডিয়ার বরাত দিয়ে আল-মায়াদিন এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরাইলি মিডিয়া উল্লেখ করেছে, দক্ষিণ সিরিয়ার অধিকৃত গোলান মালভূমিতে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানোর পর, হামাত গাদের এলাকায় একটি ড্রোন সদৃশ বস্তুকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
ড্রোনটির উৎস নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি মিডিয়ার দাবি অনুযায়ী এটি সিরিয়ার ভূখণ্ড বা ইরাক থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
ড্রোনটি সিরিয়ার দিক থেকে এসেছে দাবি করে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এটি একটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসরাইলি টিভি চ্যানেল কানের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, এ ড্রোনের বিষয়টি ইসরাইলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, এমনকি এ ড্রোনগুলো শনাক্ত করা গেলেও, সেগুলো অত্যন্ত কম উচ্চতায় উড্ডয়নের কারণে নামানো খুব কঠিন।
এ বিষয়ে সোমবার এক ঘোষণায় হিজবুল্লাহ মহাসচিব নিশ্চিত করেন যে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা রোববার অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গভীরে ইসরাইলি অবস্থানে প্রচুর সংখ্যক ড্রোন হামলা চালায়। যাকে তিনি নিহত কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর হত্যার একটি ‘প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি স্পষ্ট করেছে যে, রোববারের হামলাটি একটি কৌশলগত ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
তিনি নিশ্চিত করেন যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রোন তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। যদিও শত্রু রা এর ক্ষয়ক্ষতি গোপন রাখতে ফন্দি আটছে।
হাসান নাসরাল্লাহ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, অভিযানটি দুটি পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাথমিক পর্যায়টি হলো- ইসরাইলের আয়রন ডোম এবং ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে নিঃশেষ করা এবং এ জন্য শত শত উদ্দেশ্যমূলক রকেট দিয়ে উত্তরে অধিকৃত ফিলিস্তিনের সামরিক ঘাঁটি এবং ব্যারাকগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। যা দ্বিতীয় পর্বের জন্য পথ তৈরি করে দিয়েছিল এবং ড্রোনের ঝাঁক তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। সূত্র: আল-মায়াদিন