Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

রিপোর্টে ‘ধর্ষণ’ লিখতে অস্বীকার করায় নারী চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০২:১৩ পিএম

রিপোর্টে ‘ধর্ষণ’ লিখতে অস্বীকার করায় নারী চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি

ছবি: সংগৃহীত

আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনায় এখনো উত্তাল ভারত। আর এর মধ্যেই এক নারী চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে নারায়ণ দাস নামে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের কালনার এক তরুণের বিরুদ্ধে। 

নিজের বাবার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনাতে চিকিৎসককে রিপোর্টে ধর্ষণ লিখতে চাপ দেন ওই তরুণ। চিকিৎসক তা অস্বীকার করলে তাকে শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

জানা যায়, এ ঘটনার দুদিন আগে বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এ তরুণ। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে বাবার বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনার চেষ্টা করেন তিনি। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক মহিলা চিকিৎসককে দিয়ে প্রেসক্রিপশনে জোর করে ধর্ষণ লেখানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। আর তা না করায় চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।

এ ঘটনায় পূর্বস্থলী থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গেছে, ঋষি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক গত শুক্রবার স্ত্রীকে নিয়ে পূর্বস্থলী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে গিয়েছিলেন। সেখানে যুবক দাবি করেন, তার স্ত্রীকে মারধর করার পাশাপাশি ধর্ষণ করেছেন তার বাবা। প্রেসক্রিপশনে মিথ্যা ধর্ষণের কথা লেখার জন্য চিকিৎসকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তিনি। কিন্তু তার কথামতো প্রেসক্রিপশন না দেওয়ায় শ্লীলতাহানি করেন তিনি। পরে আদালতে তোলা হলে ওই তরুণকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। 

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ চলছিল নারায়ণের। তিনি বাবাকে দিয়ে সব সম্পত্তি জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না তার বাবা-মা। এর জন্য তিনি বৃদ্ধ বাবা রামসুন্দর দাস ও মাকে মারধর করেন। সেই ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন রামসুন্দর। পরে তাকে গ্রেফতার করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার কালনা আদালতে তোলা হলে তাকে জামিন দেন বিচারক। কিন্তু এরপরও ক্ষান্ত হননি তিনি। জামিন পাওয়ার পর বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ আনার চেষ্টা করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম