ছবি: সংগৃহীত
উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। সেখানকার ৮ জেলার আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৬৫,৫০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্র জানায়, রাজ্যটি ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ধংসাত্মক বন্যার সম্মুখীন হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে টানা বৃষ্টির জেরে পাহাড় ধসে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে দুই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সব লাশ উদ্ধার করেছেন।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে আর্থিক সাহায্য দেবে রাজ্য সরকার।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় আট জেলার ৪৫০টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ৬৫,৫০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ভয়ংকর বন্যায় পুরো রাজ্যে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এদিকে জানা গেছে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে অন্যান্য বাহিনীও। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বিমানবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আগরতলায় পৌঁছেছে আরও বাহিনী।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আগরতলায় ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং শান্তিরবাজার মহকুমার অধীনে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বোগাফায় ৪৯৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্র: এনডি টিভি ও আনন্দবাজার।