চীনকেন্দ্রিক পরমাণু প্রকল্প করছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ১১:২৬ এএম
ফাইল ছবি
বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন-আমেরিকা। বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশ দুটির অস্ত্র প্রতিযোগিতাও। সম্প্রতি পরমাণু ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মন দিচ্ছে চীন। সে কথা মাথায় রেখে, চীনকে ঠেকাতে বিশেষ পরমাণু প্রকল্পে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে একটি অতি গোপন নথিতে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীন কেন্দ্রিক পরমাণু প্রকল্পের কথা বলা আছে সেই নথিতে।
শুধু চীন নয়, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে ওই নথিতে। বলা হয়েছে, ওই দুই দেশ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে পরমাণু আক্রমণ হতে পারে। তা প্রতিহত করার জন্যই এই নতুন প্রকল্প।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, গত মার্চ মাসে ওই নথিতে সই হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ওই নথি জনসমক্ষে আনেনি। কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। তবে ২০২৫ সালে বাইডেন অফিস ছাড়ার আগে তা কংগ্রেসকে জানানো হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট মানতে চাননি মার্কিন কর্মকর্তারা। আমেরিকার অস্ত্র বিষয়ক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ২০২২ সালে দেশের পরমাণু পরিকল্পনা নিয়ে বাইডেন সরকার যে অবস্থান ঘোষণা করেছিল, তা বদলেছে বলে তারা মনে করে না। আমেরিকার পরমাণু অবস্থান বরাবরই রাশিয়াকেন্দ্রিক ছিল, এখনো তার পরিবর্তন হয়নি বলেই তারা মনে করেন।
হোয়াইটের মুখপাত্র সিয়ান স্যাভেটকে নির্দিষ্ট করে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, গত চারটি সরকারের মতো এই সরকারও একটি পরমাণু গাইডেন্স এবং এমপ্লয়মেন্ট বিষয়ক নথি প্রকাশ করেছে। এটি নতুন কিছু নয়। তিনি বলেন, পুরো নথি প্রকাশ হয়নি, কারণ, কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে। তবে তা বাইরে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে নির্দিষ্ট করে কোনো দেশের প্রসঙ্গ বলা হয়নি। সার্বিক রূপরেখার কথা বলা হয়েছে।
ডয়চে ভেলের তথ্য মতে, কর্মকর্তারা যা-ই বলুন, চীন নিয়ে যে আমেরিকা চিন্তিত তা এক কথায় মেনে নিচ্ছেন সমস্ত বিশেষজ্ঞ। অস্ত্র বিষয়ক সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড্যারিল কিম্বল বলেছেন, আমেরিকার ধারণা, গত কয়েক বছরে চীন পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়িয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তারা তা পাঁচশ থেকে এক হাজারে নিয়ে যাবে। রাশিয়ার অস্ত্রাগারে প্রায় চার হাজার পরমাণু অস্ত্র আছে। একারণেই আমেরিকা পরমাণু প্রকল্পের অভিমুখ পরিবর্তন করতে চাইছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই একটি রিপোর্টে স্পষ্ট করেছে যে, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত চীন তাদের সামরিক শক্তি বাড়াবে। রাশিয়ার সঙ্গে তারা আরো বেশি সমন্বয় তৈরি করবে।