ইরান কিংবা ইসরাইলের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে না জর্ডান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০১:১৪ পিএম
ছবি সংগৃহীত
ইসরাইলি হামলায় তেহরানে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ছক কষছে ইরান। বিপরীতে হামলা ঠেকাতে প্রস্তুতি এবং পাল্টা আক্রমণের বার্তা দিয়ে রেখেছে ইসরাইলও। এমন পরিস্থিতিতে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে প্রতিবেশী দেশ জর্ডান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, ইরান বা ইসরাইলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হবে না জর্ডান।
গত ১০ মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। অস্থিরতা চলছে ইসরাইল-লেবানন সীমান্তেও। এরমধ্যে গুপ্ত হামলায় হানিয়ার মৃত্যুতে যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান এবং ইসরাইলের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জর্ডান। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে তা প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছে জর্ডান।
শনিবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘আমরা ইরান বা ইসরাইলের জন্য যুদ্ধক্ষেত্র হবো না। তাদের জানিয়েছি, কাউকে আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে দেব না’।
গত এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। ওই হামলায় এলিট ফোর্স কুদসের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং তার সহযোগী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি-রহিমিসহ সাত কর্মকর্তা নিহত হন।
প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলি ভূখন্ডকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডানের সহায়তায় ইরানের ছোড়া বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশে থাকতে ধ্বংস করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা মিত্র হিসেবে ধরা হয় জর্ডানকে। তবে ইসরাইল অভিমুখে ইরানের হামলা ঠেকানোয় দেশটির সরকারের ওপর জনগণের চাপ ও হতাশা রয়েছে।