মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলা সামরিক কার্যালয় দখলের দাবি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
মিয়ানমারে এবার আঞ্চলিক সামরিক কার্যালয় দখলের দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। শনিবার এক বিবৃতিতে এমন দাবি করে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। দেশটির উত্তরাঞ্চলে শান রাজ্যের লাশিও শহরে অবস্থিত ওই কার্যালয়ে রাতভর হামলা চালায় এমএনডিএএ। এরপর কার্যালয়টি দখলে নিতে পেরেছে বলে নিশ্চিত করেছে সশস্ত্রগোষ্ঠীটি। এএফপি।
জান্তা বাহিনীর সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে এই সামরিক কার্যালয়ে যেসব সেনা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তারা শনিবার সকাল থেকে পিছু হটতে শুরু করেন। চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট এই লাশিও শহর।
গত মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এমএনডিএএ’র যোদ্ধাদের লড়াই চলছিল সামরিক কার্যালয়টি দখলে নেওয়ার জন্য। লাশিওতে এমএনডিএএ’র জয়ের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে গত তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক কোনো সামরিক কার্যালয় হারালো দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। পাশাপাশি এমএনডিএএসহ বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে শান রাজ্যের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। দেশটিতে সামরিক বাহিনীর ১৪টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
এর মধ্যে ১০টিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। লাশিওতে এমএনডিএএর জয়ের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে গত তিন বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক কোনো সামরিক কার্যালয় হারাল দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। পাশাপাশি এমএনডিএএসহ বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে শান রাজ্যের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের চালানো অভিযানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল চীন সীমান্তে লাউক্কাই শহর দখল। সে সময় জান্তা বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এটি ছিল বিগত কয়েক দশকের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় পরাজয়।
সশস্ত্রগোষ্ঠীদের বিদ্রোহের পরই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী। একের পর এক ঘাঁটি হারিয়ে অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছে সামরিক বাহিনীর শক্তি। এছাড়াও গৃহযুদ্ধের দেশটিতে তরুণের বাধ্য করা হয়েছে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে। তবে তাতেও কোনো লাভ হয় নি। বিদ্রোহী সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলো কৌশলে হারিয়ে দিচ্ছে সামরিক বাহিনীদের।