হানিয়ার পর হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা যারা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
ইরানের গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বুধবার তেহরানে নিজ বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হন তিনি।
হানিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে পড়েছে শোকের ছায়া। সেই সঙ্গে আলোচনায় উঠেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির ভবিষ্যতের কথা। কে হবেন পরবর্তী হামাস প্রধান? কে ধরবে হামাসের হাল? তা নিয়েই চলছে জল্পনা কল্পনা।
এমন পরিস্থিতিতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দুজন শীর্ষ নেতার নাম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভাব্য উত্তরসূরি হতে পারেন প্রবীণ হামাস কর্মকর্তা খালেদ মেশাল অথবা খলিল আল-হায়া যিনি হানিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে খালেদ মেশালই এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই দুই নেতা ছাড়াও হামাসের আরও বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার
হামাস আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। মাজদ নামে পরিচিত হামাসের নিরাপত্তা পরিষেবার প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ১৯৬২ সালে জন্ম নেওয়া এই নেতা এখন পর্যন্ত তিনবার গ্রেফতার হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তৃতীয়বার গ্রেফতারের পর হামাসের এই নেতাকে চারবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে হামাস-ইসরাইল বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে তিনি মুক্তি পান এবং গাজায় ফিরে আসেন। ২০১৭ সালে গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নিযুক্ত হন।
খলিল আল-হায়া
একজন উচ্চপদস্থ হামাস কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া। যিনি ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি গাজা শহরের প্রতিনিধি হিসাবে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদে নির্বাচিত হন। খলিল আল-হায়া ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
মারওয়ান ইসা
চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরাইলি বিমান হামলায় আল-কাসাম ব্রিগেডের ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ মারওয়ান ইসা নিহতের দাবি জানানো হলেও হামাস এখন পর্যন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেনি। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি টানেল কমপ্লেক্সে হামলায় মারওয়ান ইসা মারা যাওয়ার দাবি জানিয়েছিল ইসরাইল। হামাসের শীর্ষ এই কমান্ডার ‘ছায়া মানুষ’ এবং মোহাম্মদ দেইফের ডান হাত নামেও পরিচিত।
এছাড়া হামাস আন্দোলনের রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যুরোর সদস্যও তিনি।