ইসরাইলি নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্র্রধান ইসমাইল হানিয়া। তার মৃত্যুর পর এক প্রতিক্রিয়ায় ছেলে আবদুল সালাম বলেছেন, বাবার চাওয়া পূরণ হয়েছে (তার ইচ্ছা ছিল শহিদী মৃত্যু)। খবর আলজাজিরার।
হানিয়াপুত্র বলেন, আমরা বিপ্লবের জন্য লড়াই করছি, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছি। নেতাকে হত্যা করে এই আন্দোলন থামানো যাবে না। প্রতিরোধ আন্দোলন চলবে।
বুধবার ইরানের রাজধানীর অদূরে এক বাসায় এক বডিগার্ডসহ হামলার শিকার হন ইসমাইল হানিয়া। এতে দুজনই নিহত হন।
আইআরজিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে-বাসভবনে হামলা হওয়ার পর তারা নিহত হয়েছেন। হামলার কারণ নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়া।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত স্রেফ ১২ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে দুই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরাইল। লেবানের বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকর এবং ইরানের তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস বুধবার ভোর জানিয়েছে, তেহরানে হানিয়ার বাসভবন লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে দেহরক্ষীসহ নিহত হয়েছেন হানিয়া।
বুধবার টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘ভাই, নেতা, মুজাহিদ ও আন্দোলনের প্রধান ইসমাইল হানিয়া তেহরানে তাঁর সদর দপ্তরে একটি জায়নবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন। এর আগে তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।’
অন্যদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার দাবি করেছে, ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করেছে তারা।