ইসরাইলি হামলায় হানিয়ার মৃত্যু, যা বলল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
ছবি সংগৃহীত
মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ পেজেকশিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। গতকাল পেজেকশিয়ানের সঙ্গে বৈঠকও হয় তার। কিন্তু পরদিন জানা গেল, ইসরাইলি গুপ্ত হামলায় তেহরানে দেহরক্ষীসহ নিহত হয়েছেন হানিয়া। দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হানিয়ার ‘রক্ত কখনই নষ্ট হবে না’ বলে মন্তব্য করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, নিহত হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার রক্ত বিফলে যাবে না। একইসঙ্গে হামাসের সঙ্গে তেহরানের বন্ধন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হবে।
ঐতিহ্যগতাবে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে আসছে হামাস। গাজায় ইসরাইলের যে কোনো সামরিক প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বরাবরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ইরান।
শুধু তাই নয়, হামাসের পক্ষে ইসরাইলি স্থাপনা লক্ষ্য বানিয়ে লেবানন সীমান্তে হামলা করছে ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যে হামাসের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ইরানই। তাই নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হানিয়া। আর সেখানেই ওত পেতে ছিল ইসরাইল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে কানানি বলেন, ‘তেহরানে হানিয়ার শাহাদত তেহরান, ফিলিস্তিন এবং প্রতিরোধের মধ্যে গভীর এবং অটুট বন্ধনকে শক্তিশালী করবে।’
এর আগে সকালে এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী জানায়, ‘হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তেহরানের বাসভবনে হামলা চালানো হয় এবং এতে তিনি ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হন’।
হানিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হামাসও।গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক শাখার সদস্য জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক এক বিবৃতিতে বলেন,‘আমাদের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা কাপুরুষের মতো কাজ এবং এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে’।