Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে কাশ্মীর, বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০২:২১ পিএম

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে কাশ্মীর, বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

ছবি : সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পৃথিবীর ‘ভূস্বর্গ’খ্যাত কাশ্মীর। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে প্রচণ্ড গরমে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। বর্তমানে সেখানকার তাপমাত্রা উঠেছে ৩৬ ডিগ্রি, যা গত ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। 

ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গরমের সময় সাধারণত কাশ্মীরে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির বেশি ওঠে না। ফলে সেখানে এসি দূরস্থান, ফ্যানেরও দরকার হয় না। কিন্তু সেই কাশ্মীরেই তাপমাত্রা এতটা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

ইতোমধ্যে উদ্যানপালন বিভাগ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাতে কাশ্মীরের আপেল, আখরোটসহ বিভিন্ন বাগানের মালিক ও কর্মীদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে, এই গরমে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের বাগান বাঁচানোর জন্য। প্রথমেই বলা হয়েছে, যদি জল দেওয়ার সুবিধা থাকে, তাহলে অবিলম্বে যেন বাগানে জল দেওয়া হয়। গাছের গোড়ায় আর্দ্রতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্চ-এপ্রিলে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর বৃষ্টি হয়নি। তার জন্য গাছে পানি দরকার। একটা আপেলের ৮৬ শতাংশই জল। তাই গাছ জল না পেলে আপেল ভালো হবে না। এখন জল না পেলে আপেল উৎপাদন কম হবে। ড্রাই ফ্রুটের ক্ষেত্রেও পোকা লেগে যাবে।

কাশ্মীরে এখন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা হচ্ছে। তাপপ্রবাহের ফলে ঝিলম নদীর জলস্তর কমছে। ধানের ক্ষেত, সবজির ক্ষেত শুকিয়ে গেছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দিনে অল্পস্বল্প বৃষ্টি হতে পারে। আগস্ট পর্যন্ত সামান্য স্বস্তি হতে পারে। কিন্তু ব্যাপক বা লাগাতার বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা এখনই নেই।

কাশ্মীরে এখন স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়ার দাবি উঠেছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী দুই দিন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। তাছাড়া বাকি বাচ্চাদের স্কুল শুরু হবে সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত।

এই নির্দেশ নিয়েও সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। বাচ্চারা এত তাড়াতাড়ি স্কুলে যেতে পারবে কিনা, সেজন্য অত সকালে উঠলে তাদের শরীর খারাপ হবে কিনা সে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তবে কাশ্মীরে শীতের সময় দীর্ঘ ছুটি থাকে। তার ওপর গরমের ছুটি দিতে হলে বাচ্চারা কতদিন স্কুল করতে পারবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুরে বাচ্চা ও বয়স্করা যেন রোদে বের না হন। বের হলে যেন ছাতা নিয়ে বেরোন। প্রচুর জল খান।

কেন এই তাপপ্রবাহ?

শ্রীনগরের আবহাওয়া অফিসের প্রধান সোনাম লোটাস জানিয়েছেন, যখন দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি না হয়, তখন এ রকম অবস্থা হয়। তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং তা সহজে কমে না। এই তাপপ্রবাহ এবার কাশ্মীরে দেখা যাচ্ছে। এটা আরো কয়েকদিন চলবে। তারপর হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শের ই কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাসনিম মুবারক ডাউন টু আর্থকে জানিয়েছেন, এই তাপপ্রবাহ বুঝিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কীভাবে পড়ছে। এই তাপপ্রবাহের প্রভাব আপেলের আকার ও রঙের ওপর পড়বে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম