‘পুতিনের হুমকিতে জার্মানি ভয় পায় না’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মাঝারি-পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের উত্পাদন পুনরায় শুরু করার হুমকিতে জার্মানি বিচলিত হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেবাস্টিয়ান ফিশার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করলে, আমরা এ ধরনের বিবৃতিতে ভয় পাব না’।
‘এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র অনেক আগেই তৈরি ও স্থাপন করা হয়েছে’ উল্লেখ করে ফিশার বলেন, ‘আমরা এখন কী ধরণের পরিকল্পনা করতে যাচ্ছি, সেটাই হলো এ অস্ত্রগুলোকে জার্মানি বা অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার একটি প্রতিক্রিয়া। ’
এর আগে জুলাইয়ের শুরুতে ওয়াশিংটন ও বার্লিন এক যৌথ ঘোষণায় জানায় যে, ২০২৬ সালে জার্মানিতে টমাহক ক্রুজ মিসাইলসহ দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ‘পর্যায়ক্রমিক স্থাপনাকরণ’ শুরু হবে।
এমন প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট রোববার এই বলে হুমকি দেন যে, যৌথ পরিকল্পনাগুলো এগিয়ে গেলে রাশিয়া মাঝারি-পাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রের উত্পাদন পুনরায় চালু করবে।
সেন্ট পিটার্সবার্গে এক নৌ-কুচকাওয়াজের সময় পুতিন বলেন, ‘আমরা মাঝারি এবং স্বল্প-পাল্লার সক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে পূর্বে গৃহীত একতরফা স্থগিতাদেশ থেকে নিজেদের মুক্ত মনে করব’।
রাশিয়ায় এখন এ ধরনের বেশ কয়েকটি সিস্টেমের বিকাশ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান পুতিন।
রুশ প্রেসিডেন্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ইউরোপে এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে মার্কিন স্যাটেলাইটগুলোর পদক্ষেপ বিবেচনায় নিয়ে আমরা সেগুলো (ক্ষেপণাস্ত্র) মোতায়েন করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেব।’
এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ৫০০ থেকে সাড়ে ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যেগুলো ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বাক্ষরিত একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির আলোচ্য বিষয় ছিল।
তবে ওয়াশিংটন এবং মস্কো একে অপরকে এ চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে নিজেদেরকে মাঝারি-পাল্লার নিউক্লিয়ার ফোর্সেস চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। সূত্র: এনডিটিভি