Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শত্রুকে ‘সমূলে ধ্বংস’ করার অঙ্গীকার উত্তর কোরিয়ার

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম

শত্রুকে ‘সমূলে ধ্বংস’ করার অঙ্গীকার উত্তর কোরিয়ার

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আদেশ পাওয়া মাত্রই শত্রুদের ‘সমূলে ধ্বংস’ বা ‘নিশ্চিহ্ন’ করে ফেলা হবে বলে অঙ্গীকার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।

উত্তর কোরিয় সেনাবাহিনীর কর্নেল রি উন রিয়ং এবং নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ইউ কিয়ং সং-সহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

রোববার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এর আগে শনিবার কোরিয় যুদ্ধবিরতির ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ‘সর্বাত্মক ঘৃণা প্রকাশ’ করে ওই অঙ্গীকার করেন তারা। 

এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘পরমাণু যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার ক্ষেত্রে শয়তানি চক্র’ বলে অভিযুক্ত করেন সামরিক কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে তারা নিজেদের যুদ্ধের দক্ষতা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও দেন। যাতে সুপ্রিম কমান্ডার ও প্রেসিডেন্ট কিম জং উন আদেশ দেওয়া মাত্রই ‘কোনোরকম বিলম্ব না করে শত্রুর ওপর অপ্রতিরোধ্য আক্রমণ করা যায় এবং তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া যায়’। 

উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্তমানে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমানো এবং উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে আলোচনা ২০১৯ সাল থেকে স্থগিত রয়েছে। 

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সম্প্রতি বলেছে, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, তিনি দুই দেশের মধ্যকার চলমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে দেশটি আশা করে না। 

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন জেনারেলরা দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থনকারী জাতিসংঘ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সেই থেকে উত্তর কোরিয়া ২৭ জুলাইকে ‘বিজয় দিবস’ হিসাবে পালন করে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া দিনটিকে বড় কোনো অনুষ্ঠান হিসাবেই চিহ্নিত করে না।

দুই প্রতিবেশীর মধ্যে শত্রুতা একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হলেও সেটি আসলে কোনো চুক্তি ছিল না। যার অর্থ- উভয় পক্ষ এখনও প্রযুক্তিগতভাবে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম