ছবি: সংগৃহীত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে পাঁচ ইসরাইলি জিম্মির লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। শহরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
নিহতরা হলেন- রাভিড কাটজি (৫১), ওরেন গোল্ডিন (৩৩), মায়া গোরেন (৫৬), কিরিল ব্রডস্কি (১৯) এবং টোমার ইয়াকভ আহিমাস (২০)।
আইডিএফ জানিয়েছে, উদ্ধার এই পাঁচ লাশের একটি মায়া গোরেন (৫৬) নামের এক কিন্ডারগার্টেন স্কুল শিক্ষকের। তিনি ইসরাইলের নিরওজ শহরের বাসিন্দা ছিলেন। বাকি ৪ ইসরাইলের সেনাবাহিনীর সদস্য। এই সেনা সদস্যদের নাম প্রকাশ করেনি আইডিএফ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তাদের হামলায় নিহত হন অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া ২৪০ জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ১২০ এখনো রয়েছেন হামাসের হাতে।
ভয়াবহ সেই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসলাইলি সেনারা। তাদের সেই অভিযান এখনো চলছে এবং গত ৯ মাসে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। পুরো গাজা উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতিবাদে যা বলল হামাস
যে পাঁচ জিম্মির লাশ উদ্ধার হয়েছে, তারা হামাসের কব্জায় থেকে রয়ে যাওয়া ১২০ জন জিম্মিদের মধ্যে অন্যতম।
আটকে থাকা জিম্মিদের উদ্ধার এবং গাজায় অভিযান বন্ধের জন্য গত অক্টোবর থেকেই সেখানে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার— এই তিন দেশ এক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে।
গত বেশ কিছুদিন ধরে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সংলাপ বন্ধ ছিল। আগামী মাস থেকে কাতারে রাজধানী দোহায় তা ফের শুরু হতে যাচ্ছে।