দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে উত্তরের আবর্জনা বোঝাই বেলুন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
উত্তেজনার মধ্যেই আবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় প্রাঙ্গণে উত্তর কোরিয়ার আবর্জনা বোঝাই বেলুন পাওয়া গেছে। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা জানান, মে মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় তিন হাজারেরও বেশি বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বেলুনগুলো সিগারেটের বাট, ফেলে দেওয়া ব্যাটারি এবং এমনকি সারের মতো আবর্জনায় ভরা।
উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো এসব আবর্জনা বোঝাই বেলুন নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মধ্যে সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বিভাগ জানায়, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো বেলুন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের সহযোগিতায় পর্যবেক্ষণ করার সময় আমরা ইয়ংসানে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এলাকায় পড়া আবর্জনা বোঝাই বেলুন শনাক্ত করেছি। তবে রেসপন্স টিমের বিশ্লেষণে এই বেলুনে কোনও ক্ষতিকারক বা দূষিত পদার্থ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জনগণ কে সতর্ক করে বলেছে, পড়ে পাওয়া বেলুন স্পর্শ না করতে। পাশাপাশি কোনো বেলুন পাওয়া গেলে তা কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী অসামরিক এলাকায় (ডিএমজেড) লাউডস্পিকারে উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে এবং কে-পপ গানের মতো বিনোদোনের মধ্য দিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) এর আগে উত্তরের এমন আবর্জনা বোঝাই বেলুন পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছিল, এটি ‘স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’। উত্তর কোরিয়াকে অবিলম্বে এই হীন কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য কঠোরভাবে হুঁশিয়ারও করে তারা।
সিএনএন জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার কর্মী এবং পিয়ংইয়ং এর পক্ষত্যাগকারীরা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সমালোচনামূলক লিফলেট ভরা বেলুন সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে আসছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার নেতার প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নোংরা লিফলেট ভরা বেলুন সীমান্তের কাছে পাঠানোর অভিযোগ করেছিলেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংইয়ং বিরোধীরা উত্তর কোরিয়ায় যেসব বেলুন পাঠিয়েছে সেগুলোতে বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা নানা মিডিয়া কনটেন্ট পাওয়া গেছে।