গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে সময় লাগতে পারে ১৫ বছর
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম
গাজা ভূখণ্ডে টানা ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিরলস এই আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ড পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে, গাজায় যে মাত্রায় ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, তাতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে সময় লাগতে পারে ১৫ বছর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে গাজা উপত্যকায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৫ বছর সময় লাগবে বলে ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) একটি মূল্যায়নের বরাত দিয়ে সোমবার সংস্থাটি বলেছে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটির পরিচ্ছন্নতার জন্য ৪০ মিলিয়ন টন ধ্বংসস্তূপ অপসারণের প্রয়োজন হবে।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, বিভিন্ন অবকাঠামোর এসব ধ্বংসাবশেষ ও ধ্বংসস্তুপ গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে, কারণ এতে অবিস্ফোরিত বহু বোমা এবং ক্ষতিকারক বিভিন্ন পদার্থ থাকতে পারে।
সংস্থাটি বলেছে, ধ্বংসস্তুপ অপসারণের জন্য ১০০টিরও বেশি ট্রাকের প্রয়োজন হবে এবং ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি খরচ হবে।
অন্যদিকে ইউএনইপি বলেছে, গাজার কিছু ধ্বংসাবশেষ অ্যাসবেস্টস দ্বারা দূষিত। বিষাক্ত এই খনিজ ক্যান্সারসহ ফুসফুসের রোগ সৃষ্টি করে। সংস্থাটি আরও বলেছে, গাজার ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষের নিচে বিপুল সংখ্যক মানুষের দেহাবশেষ চাপা পড়ে আছে।
এদিকে সোমবার দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গত শনিবার ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া আল-মাওয়াসিতে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলার দুইদিন না যেতেই আবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের উপর আরো চাপ সৃষ্টির জন্যই এই কৌশল নিয়েছে দেশটি।
গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসিতে হাজারো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল। জায়গাটি ছিল তাঁবুতে পরিপূর্ণ। শনিবার ইসরাইলের আকস্মিক হামলায় ৯০ জন নিহত এবং অন্তত ৩ শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সোমবারের হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে নিশ্চিত করেনি রয়টার্স।
বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা রয়টার্সকে বলেছেন, চতুর্দিকে ধ্বংস্তুপের মধ্যে তারা এখন কোথায় যাবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।