নারীর খতনা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল পার্লামেন্ট
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১১:১১ পিএম
![নারীর খতনা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল পার্লামেন্ট](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/07/15/image-828499-1721063408.jpg)
ফাইল ছবি
নারীর খতনা বা নারীর যৌনাঙ্গে অঙ্গচ্ছেদের (এফজিএম) ওপর ২০১৫ সালের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার পার্লামেন্ট।
দেশজুড়ে মাসব্যাপী উত্তপ্ত বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক চাপের পর, নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার দাবিতে উত্থাপিত বিতর্কিত বিলটি ৩৫-১৭ ভোটে বাতিল হয়ে যায়।
নারী (সংশোধন) বিল-২০২৪ এ নারীদের খতনা প্রথাকে অপরাধমুক্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে ৫৩ আইনপ্রণেতার মধ্যে মাত্র পাঁচজন এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। এতে করে মানবাধিকার বিষয়কগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে যায়।
বিলটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির জনমতকে ভয়াবহভাবে বিভক্ত করে দেয়। খবর আল জাজিরার।
মিসরসহ আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীদের খতনা করানোর প্রথা চালু আছে। ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন (এফজিএম) নামে পরিচিত এই ধর্মীয় প্রথার কারণে নারীদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। অনেককে সারা জীবন এই সমস্যা বয়ে বেড়াতে হয়।
এসব সমস্যা সমাধানে যাদের ইতোমধ্যে খতনা হয়েছে, তাদের যৌনাঙ্গ আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মিসরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। ইতোমধ্যে অনেকের ক্ষেত্রে এই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। অসংখ্য নারী এখন এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
ছদ্মনাম ইন্তিজা জানিয়েছেন মাত্র ১০ বছর বয়সে অবর্ণনীয় ওই প্রথার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। জোর করে তার খতনা করানো হয়। শুধু ইন্তিজার নন, মিসরে লাখো নারীকে এই প্রথার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, হয়েছে। ইন্তিজারের খতনার পর তিন দশক পেরিয়ে গেছে।
প্রায় চার বছর আগে সার্জন রেহাম আওয়াদ ও আমর সিফেল্ডিন মিসরের কায়রোতে অবস্থিত তাদের হাসপাতালে প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নারীর গোপনাঙ্গের ক্লিটোরিস বা ভগাঙ্কুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেন।
চিকিৎসক রেহাম আওয়াদ বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ফের অস্ত্রোপচারই হচ্ছে একমাত্র সমাধান।’