বিশাল তেলের খনির সন্ধান পেল মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েত। রোববার দেশটির জ্বালানি তেলে অনুসন্ধান, উত্তোলন ও বিপণনকারী সরকারি কোম্পানি কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (কেপিসি) শেখ নাওয়াফ সৌদ নাসির এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, কুয়েত আরেকটি বড় জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান পেয়েছে। যেখানে তেলের মজুত আনুমানিক ৩২০ কোটি ব্যারেল। সোমবার সিনহুয়ার খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামাজিক সেই ভিডিওবার্তায় শেখ নাওয়াফ বলেছেন, পারস্য উপসাগর অঞ্চলে কুয়েতের ফাইলাকা দ্বীপে এই খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় ৯৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ খনিতে অন্তত ৩২০ কোটি ব্যারেল (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) তেল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিওবার্তায় তিনি আরও বলেছেন, বর্তমান খনিগুলো থেকে এক বছরে কুয়েত সর্বমোট যে পরিমাণ পেট্রোলিয়াম উৎপাদন করে তার তিন গুণেরও বেশি তেলের মজুত রয়েছে নতুন এই খনিতে। এক বিবৃতিতে কেপিসি জানিয়েছে, নতুন এই খনিতে ২১০ কোটি ব্যারেল পেট্রোলিয়াম এবং পাঁচ লাখ ১০ হাজার কোটি ঘনফুট জ্বালানি গ্যাস রয়েছে- প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। এই দুই জ্বালানি উপাদান মিলিয়ে খনিজ তেলের মোট পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩২০ কোটি ব্যারেল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষেত্র থেকে সম্পদ আহরণ শুরু করার পরিকল্পনা করছে কেপিসি।
প্রসঙ্গত, উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ আরও দুই দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি এই দেশ দুটি জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কুয়েতের অর্থনীতি এখনো সম্পূর্ণভাবে পেট্রোলিয়ামের ওপর নির্ভরশীল। ধারণা করা হয়, শতকরা হিসাবে বিশ্বের মোট তেলের মজুতের ৪ শতাংশ রয়েছে ১৭ হাজার ৮১৮ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে। জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রফতানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে কুয়েত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেলের যোগানদাতা এবং প্রতি বছর দেশটি ১০৪ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করে।