Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ফোনালাপে আড়িপাতার বৈধতা অসাংবিধানিক: পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম

ফোনালাপে আড়িপাতার বৈধতা অসাংবিধানিক: পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাকে নাগরিকদের ফোনালাপ ট্রেস করার বা আড়িপাতার যে বৈধতা দেওয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছে দেশটির মানবাধিকার কমিশন এইচআরসিপি। এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে সাধারণ নাগরিকসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলছে, এতে নাগরিকদের গোপনীয়তা এবং মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে দেশের সংবিধানকে অবমাননা করেছে সরকার। অনলাইন জিও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

দেশের যেকোনো নাগরিকের ফোনালাপে আড়িপাতার বৈধতা পেয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। পাকিস্তান সরকারের এ অনুমোদনে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে এইচআরসিপি। 

সংস্থাটির একটি এক্স বার্তায় বলা হয়েছে- জাতীয় নিরাপত্তার নামে নাগরিকদের ফোনালাপে আড়িপাতার যে অনুমোদন করেছে সরকার তাতে পাকিস্তান মানবাধিকার কমিশন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

এতে বলা হয়, গত সোমবার পাকিস্তান সরকার দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে (আইএসআই) নাগরিকদের ফোনালাপ ও বার্তা আদান-প্রদানে আড়িপাতার বৈধতা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে সরকার জানায়, দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ১৯৯৬ সালের টেলিকমিউনিকেশন (রি-অর্গানাইজেশন) অ্যাক্টের ধারা ৫৪-এর অধীনে এ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে ১৮-এর কম গ্রেডের কোনো সেনা অফিসারকে আড়িপাতার বৈধতা অনুমোদন করা হয়নি।

টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্টে উল্লেখিত ধারাটি ফেডারেল সরকারকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তির ফোনালাপ এবং বার্তা আদান-প্রাদনের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কল ট্রেস করার অনুমোদন দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এইচআরসিপির মতে, সরকারের ওই নীতির মধ্য দিয়ে দেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে সরকার। তারা সরকারের প্রতি অবিলম্বে বিতর্কিত ওই নীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

ফোনালাপ ও বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আড়িপাতার যে অনুমোদন পেয়েছে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা তাতে দেশটির রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ আরও প্রকট হলো। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় অর্ধেক সময়ই দেশটির ক্ষমতায় ছিল দেশটির সামরিক বাহিনী। 

এছাড়া পাকিস্তানের রাজনীতিতে দেশটির সেনা বাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপের নজিরও রয়েছে। যেকোনো সরকারকে ক্ষমতায় রাখা বা সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনী অতিমাত্রায় ভূমিকা রেখে আসছে। ফলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে সরকারের কড়া সমালোচনা করছে বিরোধী দল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম