পাকিস্তানে নিরপেক্ষ ইসির অধীনে নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির উচ্চ নিরাপত্তার আদিয়ালা কারাগারে থেকেই এই দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই নেতা।
প্রায় ২০০ মামলা রয়েছে সাবেক এই ক্রিকেটার ও পিটিআই নেতার নামে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় সাজা খাটছেন। তিনি এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। তাকে জেলে রেখেই নির্বাচন দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর তাতে তার দলের নেতাদের নির্বাচন করতে হয় স্বতন্ত্র হিসাবে। নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান বলেছেন, ‘আমি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুতেই’ (আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই) বিশ্বাস করি। আর এই বিশ্বাস থেকেই আমি মনে করি সত্যের মুক্তির পথে আমার এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। প্রায় এক বছর জেলে বন্দি থেকে ও অত্যধিক তাপমাত্রাতেও আমি স্বৈরাচারীদের কাছে মাথা নত করব না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের এই বার্তা প্রকাশ করা হয়। তাতে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি কারাগারে মরতে প্রস্তুত। তবে, যত দিন বেঁচে থাকি, লড়াই করে যাব।’ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে ভুয়া ছিল উল্লেখ করে খান বলেছেন, সারা দেশই এই কথা জানে। এর পরও চিফ জাস্টিস কাজি ফায়েজ ইসা বলে যাচ্ছেন এই নির্বাচন কমিশন নাকি ভালো করেছে। আমাদের ন্যায়বিচার পেতে হচ্ছে এই কমিশন থেকে। আমি নতুন করে নির্বাচন চাই। আর তা হতে হবে নতুন ও নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান খান। এর পর থেকেই একের পর এক সংকটে পড়ছেন ৭১ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ। গত বছরের আগস্ট থেকে জেলখানায় রয়েছেন তিনি। মোট চারটি মামলায় অভিযুক্ত তিনি। তবে এর মধ্যে দুই মামলার কারাদণ্ড বাতিল করা হয়েছে।
ক্ষমতায় থাকার সময় সরকারি কোষাগার থেকে না জানিয়ে উপহার বিক্রি, সহিংসতায় রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের অপরাধসহ একাধিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এদিকে আইন বর্হির্ভূতভাবে বিয়ে করার অপরাধে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও কারাগারে রয়েছেন।