ইসরাইলে মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে র্যালি, চাপে নেতানিয়াহু
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
গত বছর ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের ৯ মাস পূর্ণ হলো। যুদ্ধবিরতির একাধিক প্রস্তাবেও সায় দিচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার। নানা অজুহাতে থেমে যাচ্ছে যুদ্ধবিরতির চুক্তি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই গাজায় চলছে ইসরাইলের তাণ্ডব। ফলে একাধিক চেষ্টার পরও হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু সরকারকে চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টায় ইসরাইলে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির জনগণ। রোববার সকালে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধসহ সরকারি মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে র্যালি করেন। রয়টার্স।
ইসরাইলি মিডিয়া অনুসারে, ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের করা হামলার সময়ের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন শহরের ব্যস্ত সময়ে সারা দেশের প্রধান প্রধান মোড়গুলোতে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। দেশটির নাহালাল, সিজারিয়া, বিলু এবং রা’আনানা-হার্জলিয়াসহ প্রধান মোড়েও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তেল আবিব-জেরুজালেমসহ মহাসড়কে কিছুক্ষণের জন্য টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। পুলিশ পৌঁছালে সেখান থেকে সরে যান।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নয় মাস যুদ্ধের পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার একটি চুক্তির প্রচেষ্টা গতি পেয়েছে। তবে উভয়পক্ষের মধ্যে আরও কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। মাইক ও ব্যানার হাতে ছোট ছোট দলগুলোও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও জোটের আইনপ্রণেতাদের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, নেসেট স্পিকার আমির ওহানা, অর্থনীতিমন্ত্রী নির বারকাত, পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ, কৃষিমন্ত্রী আভি ডিখটারসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে সমাবেশ করেন।
নেতানিয়াহুর অভ্যন্তরীণ জোটের সদস্য ক্যাবিনেট মন্ত্রী রন ডার্মারের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভকারীদের একটি ছোট ভিড় চিৎকার করে বলে, ‘পূর্ণ ব্যর্থতা! পূর্ণ ব্যর্থতা!’ গাজার সীমান্তের কাছে অর হ্যানারের কিবুতজে ৭ অক্টোবরের হামলায় নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি করে কালো বেলুন এবং গাজায় এখনো জিম্মি রয়েছেন এমন প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি করে হলুদ বেলুন ঝুলিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তবে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন কিছু ইসরাইলি। তারা উলটো প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার এবং দেশের সব উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু করা পালটা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
וזוהי רק ההתחלה - אזרחי ישראל לא יתנו לנתניהו והממשלה לטרפד עוד עסקה ולהמשיך להפקיר את החטופים
— Restart Israel (@restart_israel) July 7, 2024
אלפי מפגינים בצעדה על אבן גבירול בתל אביב
| צילום: גיל לוין. pic.twitter.com/A71PBr8CyK