Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইউসুফ-রাবিয়াতুর ৫০ বছরের সংসার নিয়ে কেন এত আলোচনা?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম

ইউসুফ-রাবিয়াতুর ৫০ বছরের সংসার নিয়ে কেন এত আলোচনা?

ইউসুফ-রাবিয়াতু দম্পতি

বিবাহ বিচ্ছেদ যেখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা, সেখানে নাকি ৫০ বছর একত্রে সংসার করেছেন মাহমুদ কবির ইউসুফ ও তার স্ত্রী রাবিয়াতু তাহির। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এক প্রকার আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। 

বিবিসি সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায়। দেশটির কিছু কিছু অঞ্চলে এতে বেশি বিয়ে বিচ্ছেদ হয় যে, শহরের প্রকৃত নাম ঢাকা পড়ে বিবাহ বিচ্ছেদের শহর নামেই পরিচিতি পেয়েছে। কারণ এখানে কারও বিয়ে বেশি দিন টেকে না। 

খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ৫০ বছর একসঙ্গে সংসার জীবন পার করায় সবার নজর কেড়েছেন এই দম্পতি। বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি এ দম্পতি তাদের ৫০তম বিবাহবার্ষিকী পালন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারকা বনে গেছেন।

নিজেদের জীবনের কাহিনী বিবিসিকে শুনিয়েছেন ইউসুফ ও তাহির। নিজের স্ত্রীর প্রশংসা করে ৭৬ বছর বয়সি ইউসুফ বলেন, ‘তিনি খুবই নিঃস্বার্থ ব্যক্তি। আমাদের এই সুখী দাম্পত্য জীবনের পেছনে তার অবদান অনেক।’

স্বামী ইউসুফের কথায় খুশি রাবিয়াতু তাহির। এই দম্পতির ১৩ সন্তান। তিনি স্বামী ইউসুফের প্রশংসা করে বলেন, সংসার জীবনের কঠিন সময়েও তার স্বামী ধৈর্য রেখেছেন ও শান্ত থেকেছেন। আমি মনে করি, এটাই আমাদের সাফল্যের মূলমন্ত্র।’ সংসার জীবনে ইউসুফ ও তাহিরের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সম্মান রয়েছে। এজন্য তারা দীর্ঘসময় একসঙ্গে থাকতে পেরেছেন।

অন্যদিকে, হাসানা মাহমুদ তার জীবনের ভিন্ন দিক তুলে ধরেন। ৩৯ বছর বয়সি এই নারীর পাঁচবার বিয়ে হয়েছে। কিন্তু কোনো বিয়ে টেকেনি। তিনি বলেন, আমার বিবাহিত জীবনে শুধু একজনের সঙ্গে চার বছর সংসার করতে পেরেছি। তাই এ দম্পতিকে একসঙ্গে ৫০ বছর উদযাপন করতে দেখাটা অনেক আনন্দদায়ক।’

নাইজেরিয়ার জনবহুল কানো শহরে নব্বইয়ের দশক থেকে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়তে শুরু করে। এই বদনাম আর ঘোচাতে পারেনি শহরটি। এ শহরে প্রতি মাসে কয়েকশ বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে বিবিসি ২০২২ সালে এক গবেষণা করে। এতে দেখা গেছে, শহরটিতে ৩২ শতাংশ বিয়ে তিন থেকে ছয় মাস টেকে। এমনকি ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সি ব্যক্তিদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম