Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

স্টারমারের অধীনে কেমন হবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র নীতি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৪০ পিএম

স্টারমারের অধীনে কেমন হবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র নীতি

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৪ বছর পর যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় লেবার পার্টি। যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে দলটি। ৩২৬ আসনে জয় পেলেই যেখানে হয়, সেখানে ৩৬২ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। আর কনজারভেটিভ পার্টি ৮৩ আসনে জয় পেয়েছে। আর লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জয় পেয়েছে ৫১ আসনে। জয়ের পর লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার হবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তার অধীনে কেমন হবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র নীতি তাই নিয়েই এখন হচ্ছে আলোচনা।

অবশ্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঠিক মতো দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার আগেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে তাকে। যেখানে থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউরোপীয় অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দায়িত্বের শুরুতেই বড় কূটনীতির ঝড়ের মুখে পড়তে হবে তাকে।

এরপর ১৮ জুলাই ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডের কাছে ব্লেনহেইম প্যালেসে ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। যেখানে ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির ওলাফ স্কোলজ উপস্থিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে স্টারমারের। 

এছাড়াও বেক্সিট ইস্যুসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে যেতে হতে পারে যুক্তরাজ্যকে। এর বাইরেও আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তো থাকছেই। সব মিলিয়ে স্টারমারের অধীনে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র নীতি কেমন হবে সেটাই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রধান আলোচনা। 

কেননা, গত বছর স্টারমার যুক্তরাজ্যকে বাণিজ্যে এবং প্রযুক্তির মতো ইস্যুতে চীন থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার মতো বিষয়গুলোর দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে তাকে। এছাড়াও আগামী মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় বসলে যুক্তরাজ্যকে চীনের ব্যাপারে চাপ দিতে পারে; সেটিও মাথায় রাখতে হচ্ছে তাকে।

এর বাইরে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নিজেদের একটি পক্ষে নিতে হবে তাদের। কেননা, লেবার পার্টি নির্বাচনের আগে বলেছিল ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। সেই সঙ্গে তখন বলেছিল অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিসহ সমস্ত জিম্মি মুক্তি ও গাজায় সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে চায় তারা। এই সংঘাতের সমাধানের পক্ষে যুক্তরাজ্য। তবে এখন নির্বাচিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্য এটি চাইলেও যুক্তরাষ্ট্রের কারণে করতে পারে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা থাকছেই।  

এর বাইরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে স্টারমারকে। যদিও তিনিও সব সময় ইউক্রেনের পক্ষেই কথা বলেছেন নির্বাচনের আগে। তাছাড়া যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের কট্টর সমর্থন। রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে সহায়তা করার জন্য অর্থ, অস্ত্র এবং সৈন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করেছিল ঋষি সুনাকের সরকার। নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে স্টারমারের ভূমিকা কি হবে সেটায় এখন দেখার।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম