Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যা জানাল ইরানের সাংবিধানিক পরিষদ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যা জানাল ইরানের সাংবিধানিক পরিষদ

২৮ জুন অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের সত্যতা যাচাই করেছে ইরানের সাংবিধানিক পরিষদ।

রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সঙ্গে আলাপকালে পরিষদের মুখপাত্র বলেন, তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যথার্থতা ও বৈধতা নিশ্চিত করেছেন এবং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেছেন। খবর তাসনিম নিউজের। 

হাদি তাহান নাজিফ বলেন, সাংবিধানিক কাউন্সিল অভিযোগ ও আপত্তির জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু এ সময়ে প্রার্থী বা ভোটারদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। 

রানঅফের প্রস্তুতির দিকে ইঙ্গিত করে মুখপাত্র বলেন, দুই চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুক্রবার লড়েছেন চার প্রার্থী। তারা হলেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, সাঈদ জলিলি, মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। 

এই চার প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। এর ফলে দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ রান-অফে গড়িয়েছে নির্বাচন। আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচন। তাতে লড়বেন সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলি। 

পেজেশকিয়ান শুক্রবারের নির্বাচনে মোট ভোটের ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জলিলি পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ ভোট। 

ইরানে ৪৫ বছরে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি

শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া পেজেশকিয়ান ছিলেন একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। আর তার বাকী তিন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রক্ষণশীল বা কট্টরপন্থী। অর্থাৎ একদিকে ছিলেন সংস্কারপন্থী এক নেতা আর বিপরীতে লড়েছেন রক্ষণশীল তিন নেতা। আল-জাজিরা বলছে, এতে রক্ষণশীল নেতাদের ভোট ভাগ হয়ে গেছে তিন ভাগে। 

যদি রক্ষণশীল তিন নেতার মোট ভোটসংখ্যা হিসাব করা হয় তাহলে দেখা যাবে তারা তিনজন মিলে সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে জলিলি পেয়েছেন ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট, মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ পেয়েছেন ১৩ দশমিক আট শতাংশ আর মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ তিনজনে মিলে পেয়েছেন ৫২ শতাংশের বেশি ভোট। যা সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ানের পাওয়া ভোটের তুলনায় বেশি। 

৫ জুলাইয়ের নির্বাচন হবে এক সংস্কারপন্থী বনাম এক রক্ষণশীল প্রার্থীর মধ্যে। রক্ষণশীলদের ভোট সেদিন আর ভাগ হবে না তিনভাগে। যারা রক্ষণশীল মতাদর্শের পক্ষে ভোট দেবেন তারা কেবল একজন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। আগেরবারের মতো তিনজনের মধ্যে ভোট ভাগ হয়ে যাবে না।

সেই হিসাবে বলা যায়, রক্ষণশীল বা কট্টোরপন্থী প্রার্থী সাঈদ জলিলির পক্ষে বেশি ভোট পড়তে পারে সেদিন। অর্থাৎ প্রয়াত ইব্রাহিম রাইসির উত্তরসূরী হতে পারেন রক্ষণশীল বা কট্টোরপন্থী প্রার্থী সাঈদ জলিলি। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম