ভোটের পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিন্দুমাত্র বদলাননি বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী।
তিনি বলেন, ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে, ভোটের পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিন্দুমাত্র বদলাননি। মুখে সহমতের কথা বলছেন, ঐকমত্যের শিক্ষা দিচ্ছেন, অথচ চলেছেন সংঘাতের পথে। নির্বাচন থেকে কিছুটা অন্তত শিক্ষা পেয়েছেন, তেমন সামান্যতম নিদর্শনও তিনি এই কদিনে রাখতে পারেননি।
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু পত্রিকায় শনিবার প্রকাশিত এক মতামতধর্মী নিবন্ধে সোনিয়া গান্ধী এসব কথা বলেন।
মোদি ও তার সরকারের আচরণের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রচারের সময় যিনি নিজেকে ঈশ্বরের সমতুল্য বলে জাহির করেছিলেন, তার কাছে এই নির্বাচন ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। যে বিভাজন নীতি ও ঘৃণার রাজনীতি তিনি অনুসরণ করে চলেছিলেন, দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। অথচ তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এত দিন যেভাবে চলেছেন, সেভাবেই চলবেন।
সোনিয়া নিবন্ধে লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর দূতদের সরাসরিই বলা হয়েছিল, কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। সরকারের মনোনীত ব্যক্তিকেই স্পিকার পদে মেনে নেবে। কিন্তু সরকারের উচিত প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের ছেড়ে দেওয়া। অথচ এই ন্যায্য চাহিদাটুকু সরকার মানল না।
মোদি সরকারের কঠোর সমালোচনার পর সোনিয়া লিখেছেন, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সংঘাত চায় না। বিরোধীরা যে সহযোগিতা চায়, বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। জোটের অন্য নেতারাও বলেছেন, তারা চান সংসদ কার্যকর ভূমিকা পালন করুক এবং সভা নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হোক।