বাইডেন-ট্রাম্প বিতর্কে যেসব বিষয় সামনে এসেছে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে শেষ হলো বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম টেলিভিশন বিতর্ক। এতে অংশ নিয়ে বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে দুষলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। বিতর্ক মঞ্চে উঠলে প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প।
তাদের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে অভিবাসন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ, ইউক্রেন যুদ্ধ ও দুই নেতার বয়স।
তা ছাড়া বিতর্কের একপর্যায়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে একে অপরকে দুষলেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের এই দুই প্রার্থী।
বাইডেন বিশ্বকে নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করত না।
এর জবাবে বাইডেন বলেন, ট্রাম্প তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনীতি সামলানো, পররাষ্ট্র নীতির রেকর্ড ও ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসীর বিষয়ে বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেন। অন্যদিকে আদালতে সম্প্রতি ট্রাম্পের সাজার প্রসঙ্গ তুলে ট্রাম্পকে ‘গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।
বিতর্কে ট্রাম্প শেষ করেছেন এই বলে যে, আমেরিকার মানুষ এখন জাহান্নামে বাস করছে। তার ভাষায়, ‘সাড়ে তিন বছর ধরে আমরা জাহান্নামে বাস করছি’। অন্যদিকে বাইডেন তার শেষ বক্তব্যে আমেরিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, তিনি কর কমিয়ে আনতে চান। একই সাথে দাবি করেন, ট্রাম্প কর বাড়িয়ে দিবেন।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ডেমোক্র্যাট দলের বাইডেন ও রিপাবলিকান ট্রাম্প পরস্পরের মুখোমুখি হলেন। বিতর্কে কথা বলার সময় বাইডেনের কণ্ঠ খসখসে শোনাচ্ছিল। এ নিয়ে তার প্রচার দল বলেছে, গত কয়েকদিন ধরে তার ঠাণ্ডা লাগার কারণে কণ্ঠ এমন শোনাচ্ছে।
বিতর্কে বাইডেনের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত-সংকটে কেন ভোটাররা তার ওপর আস্থা রাখবেন।
জবাবে বাইডেন বলেন, মার্কিন কংগ্রেসে একটি দ্বিদলীয় সীমান্ত বিল পাশ করার জন্য তার প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে।
বিতর্কের পরে সিএনএন-এ উপস্থিত হন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বাইডেনের শুরুটা ভালো ছিল না বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ভোটারদের উচিত বাইডেন ও ট্রাম্পকে ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের কাজ দিয়ে বিচার করা।
আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেই এবার নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেশটিতে।
এরই মধ্যে মার্কিন রাজনীতি নিয়ে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক মার্কিন ভোটারের আশঙ্কা— নির্বাচনের পর সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে নোবেলজয়ী ১৬ অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ট্রাম্পকে পর্ন তারকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাইডেনের খোঁচা