‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেব না’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাম্প্রতিক রেজুলেশনের আলোকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় পরিষদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, ‘আমরা কাউকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার দিতে পারি না। পাকিস্তান মার্কিন রেজুলেশনের বিষয়টি বিবেচনা করেছে এবং অবশ্যই এটির প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় পরিষদে ইসহাক দার এসব কথা বলেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রস্তাবের কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং ইসহাক দার পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিক্রিয়া পড়ে এই অনুভূতির পুনরাবৃত্তি করেছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের প্রস্তাবের জবাবে পাকিস্তান দু-এক দিনের মধ্যে একটি প্রস্তাব আনবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘খসড়া রেজুলেশন প্রস্তুত এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রেজুলেশন নোট করেছি। আমরা অবশ্যই এর প্রতিক্রিয়া জানাব।’
জাতীয় পরিষদে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ইসহাক দার তার দেশের পররাষ্ট্র নীতির ওপর একটি বিশেষ অধিবেশনের প্রস্তাব করেন, যেখানে পাকিস্তান সরকার তার নীতি ব্যাখ্যা করবে।
তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির স্পষ্টতা ও শক্তি তুলে ধরে বলেন, আপনি যদি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখেন, তার একটি পরিষ্কার পররাষ্ট্র নীতি রয়েছে।
পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত একটি বিশেষ অধিবেশন করার প্রস্তাবটি যুক্তিযুক্ত উল্লেখ করে ইসহাক দার বলেছেন, সরকারকে তার অবস্থান এবং কর্ম ব্যাখ্যা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই মার্কিন রেজুলেশনে সাড়া দিয়েছে, যা মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রকাশ করা হয়েছিল।
‘পাকিস্তান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংসদীয় গণতন্ত্র’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আমরা অবিলম্বে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেব।
দার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বাজেট অধিবেশনের পর পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক ডাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিষদ বর্তমানে বাজেট পাশ করছে। এটি সম্পন্ন হলে আমরা পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনায় মনোযোগ দিতে পারব।’
ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাগুলোকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখেন ইসহাক দার। তিনি এ বিষয়ে উত্তেজিত হয়ে বলেন, এই প্রকল্পের বিষয়ে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি ব্রিফিং দেওয়া উচিত। কেননা আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
আফগানিস্তান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল প্রতিবেশী চায়। আফগানিস্তান এক্ষেত্রে আমাদের সমমনা। কেননা কাবুলের সঙ্গে আমাদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যবাহী সম্পর্কগুলো অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে একই রকম নয়।
কয়েক সপ্তাহ পর দোহায় আফগানিস্তান সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে দার বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন এবং পাকিস্তান সম্পূর্ণভাবে এ বৈঠকে অংশ নেবে। সূত্র: সামা টিভি