ভূমিধস-বন্যা-বজ্রপাতে বিধ্বস্ত নেপাল, নিহত আরও ১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
নেপালে প্রবল বর্ষণের জেরে ভূমিধস, বন্যা ও বজ্রপাতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যার মধ্যে কেবল ভূমিধসেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এ ছাড়া বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন এবং বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার শোক প্রকাশ করেছে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেই আহতদের উদ্ধারে তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা এনডিআরএমএ।
সাধারণত জুন মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালে প্রবল বর্ষণ হয়। এ বছর নির্দিষ্ট সময়েই অর্থাৎ ১৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে হিমালয়ের দেশটিতে বর্ষার আগমন ঘটেছে। তারপর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির বিভিন্ন অংশে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বন্যা, ভূমিধস ও বজ্রপাতে মৃত্যু ঘটেই চলেছে। তবে এর মধ্যে বুধবার সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে।
জানা গেছে, গত ১৭ দিনে নেপালে বজ্রপাতেই প্রাণহানি ঘটেছে কমপক্ষে ১৩ জনের এবং ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ৩৩টি জেলা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে একাধিক জায়গায়।
এবারের বর্ষায় নেপালজুড়ে ভূমিধস, বন্যা ও বজ্রপাতের ফলে ১৪৭টি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সাধারণত জুনের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশটিতে সক্রিয় থাকে মৌসুমী বায়ু। এ সময়ের মধ্যে প্রতিবছর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয় দেশটিতে। এবারও তা অব্যাহত।
জানা গেছে, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে লামজুং জেলায় ভূমিধসে তিনটি বাড়ি একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। তাতে দুই শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক বুদ্ধ বাহাদুর গুরুং।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৬ জুন ভূমিধস এবং বন্যার ৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ভূমিধসে আহত হয়েছেন ১০ জন। চলতি বর্ষায় এখনও পর্যন্ত এদিনই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস