সদ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতা জেপি নড্ডা। এবার এই মন্ত্রী পেলেন আরও একটি দায়িত্ব। রাজ্যসভার নেতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন তিনি। এর আগে এ পদে ছিলেন পীযূষ গোয়েল।
সোমবার শুরু হয়েছে লোকসভার প্রথম অধিবেশন। ২০২৪ লোকসভা ভোটের পর আজ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ পাঠ করেন। এর আগে রাজ্যসভার কক্ষ নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে লোকসভা ভোটে উত্তর মুম্বাই থেকে পীযূষ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদের উচ্চকক্ষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৪১ প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম জেপি নাড্ডা। তিনি ছাড়াও বিজেপি মাত্র তিনজন সদস্য মনোনীত করেছে রাজ্যসভা নির্বাচনের সর্বশেষ দফায় দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য। এই মনোনীতরা হলেন, অশ্বিনী বৈষ্ণব, এল মুরুগান এবং দলের মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী।
এদিকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় রয়েছেন। এদিকে জেপি নাড্ডা রাজ্যসভায় কক্ষের নেতা হিসেবে উঠে আসতেই কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ একটি টুইটে খোঁচার সুরে আক্রমণ শানান বিজেপির দিকে। বেঙ্কাইয়া নাইডুর একটি মন্তব্যকে তুলে ধরে এই নেতা বলেন, শুভেচ্ছা জেপি নাড্ডাজিকে। তিনি রাজ্যসভায় কক্ষের নেতা মনোনীত হওয়ার জন্য।
এদিকে স্পিকার নির্বাচনের আগে আজ প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন ঘিরে লোকসভায় তোলপাড় চলে। সেখানে প্রোটেম স্পিকার হিসেবে কেন কংগ্রেসের আটবারের সাংসদ সুরেশ কোদিকুন্নিলকে জায়গা না দিয়ে বিজেপির ৭ বারের সংসদ সদস্য ভর্তৃহরি মহতাবকে প্রোটেম স্পিকার করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও বিজেপির সাফ দাবি, সুরেশ কোদিকুন্নিলকে ৮ বারের সংসদ সদস্য হলেও, তিনি পর পর বারো ভোটে জিতে ৮ বারের সাংসদ হননি।
প্রসঙ্গত, নিয়মানুসারে অনুসারে সংসদের সবচেয়ে বর্ষীয়ান নেতাকেই প্রোটেম স্পিকার করা হয়। সেই জায়গা থেকে এই দুই নাম ঘিরে উত্তাল হয় সংসদ।