ভগবানগোলা ও বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয় লোকসভা নির্বাচন চলাকালে। এর পর রাজভবন থেকে সবুজ সংকেত না মেলায় দুই সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণ আটকে যায়। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে সায়ন্তিকাকে রাজভবনে একা শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে ভগবানগোলার নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেয়াত হোসেন সরকার এখনো আমন্ত্রণ পাননি।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামীকাল দুপুর ১২টায় শপথ নেওয়ার জন্য বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছে রাজভবন। সেই চিঠির পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সায়ন্তিকা। তার আগে আজ বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথাও রয়েছে এ টালিউড অভিনেত্রীর।
দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে ঋতুপর্ণা
বিধানসভা টপকিয়ে রাজভবনের পক্ষ থেকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণের বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে ভগবানগোলার নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেয়াত হোসেন সরকার এখনো আমন্ত্রণ পাননি। যেহেতু রাজভবন থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাই এ চিঠির পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ সংসদ সদস্য। ওই চিঠিতে সায়ন্তিকা জানতে চাইবেন— তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন কে? সেটি রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হোক।
তিনি আরও বলেন, ‘উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেটি করা হলো না। আর বিধানসভাকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি আমাকে চিঠি পাঠানো হলো। ভগবানগোলার সংসদ সদস্যকে এখনো কোনো চিঠিই পাঠানো হয়নি বলেই শুনেছি। সেখানে আমি একা কেন যাব? আমি যাব না।’
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমার পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমার কাছে এটা বেদনার।
এদিকে রোববার রাজ্যের পরিষদমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় এ ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে অসম্মান করেছে রাজভবন।’
উল্লেখ্য, ভগবানগোলা এবং বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয় লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন। এরপর রাজভবন থেকে সবুজ সংকেত না মেলায় দুই সংসদ সদস্যের শপথগ্রহণ আটকে যায়। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তখন বিধানসভায় প্রবীণতম মহিলা সংসদ সদস্যসহ নানা তথ্য জানতে চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চিঠি পাঠান। তাতে ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে ‘সাংবিধানিক নিয়ম’ স্মরণ করিয়ে দেন। আর তার মধ্যেই সংসদ সদস্য সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একা রাজভবনে শপথ নেওয়ার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।