পাকিস্তানে পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) সঙ্গে নিয়ে জোট সরকার গঠন করেছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। আর তাই পিপিপির সঙ্গে সব ক্ষমতা ভাগাভাগি করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে তাদের। তারই অংশ হিসেবে দলটির বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছে পিএমএল-এন।
সূত্রের খবর, পাঞ্জাবে উন্নয়ন তহবিল ও প্রশাসনিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিপিপিকে প্রাধান্য দেবে সরকার।
পিপিপির রাজা পারভেজ আশরাফ, আলী হায়দার গিলানি, নাদিম আফজাল চাঁন এবং হাসান মুর্তজা এ আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। আর পিএমএল-এনের প্রতিনিধিত্ব করেন পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার আহমেদ খান, রানা সানাউল্লাহ এবং খাজা সাদ রফিক প্রমুখ।
সূত্র জানায়, পিএমএল-এন জেলা প্রশাসন, আইন কর্মকর্তা নিয়োগ, বিভিন্ন বোর্ড ও কর্তৃপক্ষে প্রতিনিধিত্ব, আগাম স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান, পিএমএল-এন আইনপ্রণেতাদের সমপরিমাণ উন্নয়ন তহবিল বিতরণের বিষয়ে পিপিপির দাবি মেনে নিয়েছে।
সূত্রের খবর, মুলতান, মুজফফরগড়, রহিম ইয়ার খান, রাওয়ালপিন্ডি এবং রাজনপুরসহ ১২টি জেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব এলাকায় জেলা কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পিপিপির পরামর্শ নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আলোচকরা জানান, পিপিপি প্রতিনিধিদল আগামীকাল চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির কাছে তাদের সমস্ত আলোচনার একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে এবং পিএমএল-এন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কাছে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
তারা বলেছে, তারা রাজি হলে একটি লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।