লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননের বনাঞ্চল লক্ষ্য করে ফসফরাস বোমা হামলা চালিয়েছে। এর ফলে সেখানে আগুন ধরে গেছে। কাফার কিলা শহরের কাছে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে এনএনএ। খবর আল-জাজিরার
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক রামজি কাইস সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জনবহুল এলাকায় ইসরাইলের এয়ারবার্স্ট সাদা ফসফরাস যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার নির্বিচারে বেসামরিক লোকজনের ক্ষতি করছে এবং অনেককে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে।
এদিকে আল-জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সির যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আপার গ্যালিলির আয়েলেত হাশাহারে একটি ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা সেনাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এক্সে ইসরাইলি আর্মি রেডিওর শেয়ার করা ফুটেজে দেখা যায়, ইসরাইলি ঘাঁটির আশপাশে সাইরেন বাজতে দেখা গেছে, সেনারা ভয়ে দৌড়াচ্ছে।
সাদা ফসফরাস কতটা ক্ষতি করে?
সাদা ফসফরাসের সংস্পর্শে এলে মানুষ তীব্র জ্বালা অনুভব করে অনেক ক্ষেত্রে এটা মানুষের হাড় পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয় এবং এর নিরাময়ে অনেক সময় লাগে। সেসঙ্গে সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে।
সাদা ফসফরাসের কারণে যদি মানুষের শরীরের মাত্র ১০ শতাংশও দগ্ধ হয়, তাহলেও তা মারাত্মক। এর সংস্পর্শে এলে মানুষের শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে এবং শরীরের অনেক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সাদা ফসফরাস থেকে সৃষ্ট প্রাথমিক ক্ষত থেকে বেঁচে থাকা লোকেরা সারা জীবন ভোগেন।
সাদা ফসফরাসের আগুন ঘরবাড়ি এবং পাকা ভবনেরও ক্ষতি করতে পারে, ফসল ধ্বংস করতে পারে এবং গবাদি পশুর প্রাণহানীর কারণ হতে পারে।
সাদা ফসফরাস নিয়ে আইনি এবং নৈতিক উদ্বেগ
সশস্ত্র সংঘাতে সাদা ফসফরাস ব্যবহার বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোতে নিষিদ্ধ।
কনভেনশন অন কনভেনশন উইপনস (সিসিডব্লিউ) এর প্রটোকল ৩ বেসামরিক জনগোষ্ঠী বা বেসামরিক এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে সাদা ফসফরাস ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
প্রোটোকলের অধীনে, এটি কেবল আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নীতি অনুসারে সংকেত, স্ক্রিনিং এবং চিহ্নিতকরণের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
সশস্ত্র সংঘাতে সাদা ফসফরাসের ব্যবহার একটি উল্লেখযোগ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, কেউ কেউ বেসামরিক নাগরিক এবং পরিবেশের ক্ষতি হ্রাস করার জন্য কঠোর বিধিবিধান এবং আরো নজরদারির আহ্বান জানিয়েছে।