জেলেনস্কির বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ সাবেক রুশ প্রেসিডেন্টের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে দেশটির সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। গত ২১ মে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির মেয়াদ শেষের অনেক আগে থেকেই ইউক্রেনের ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ তার।
রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ভিকন্তাক্তে’-তে দেওয়া এক পোস্টে মেদভেদেভ লিখেছেন, ‘ওই প্রতিভাহীন ভাঁড় (জেলেনস্কি) অনেক আগেই তার নিজের দেশের সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। নেশা আর লোভে মত্ত হয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।’
নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে ইউক্রেনের সংবিধানের বেশকিছু ধারাকে সামনে এনেছেন মেদভেদেভ। ১৯৯৯ সালে ইউক্রেনের সাংবিধানিক আদালত উল্লেখ করেন যে, দেশটির সংবিধানের ষষ্ঠ ধারার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সংসদ, নির্বাহী এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে কোনো একটি বিভাগ রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত না করতে পারে।
এছাড়া দেশটির সংবিধানের ৭৫ ধারায় আইন প্রণয়নের অধিকার শুধুমাত্র ইউক্রেনের সংসদ ভেরখোভনা রাদাকেই দেওয়া হয়েছে। ১০৬ ধারায় বলা হয়েছে, ভেরখোভনা রাদায় পাশ হওয়া আইনে-ই স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপ্রধান। এক্ষেত্রে কোনো আইন নিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানের আপত্তি থাকলে তা পুনরায় ভেরখোভনা রাদাতে পাঠানো হয়।
তবে জেলেনস্কি এসব নিয়মের কিছুই মানছেন না বলে অভিযোগ মেদভেদেভের, ‘জেলেনস্কির কাছে সংবিধানের কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভেরখোভনা রাদায় পাশ হওয়া ৩২টি আইন সে স্বাক্ষরও দেয়নি, আবার ফিরিয়েও দেয়নি। বিষয়টা একবার ভাবুন; সে আইনগুলোকে নিজের ড্রয়ারে রেখে দিয়েছে, যার ফলে তার দেশের জনগণ হয়ত অনেক বিষয়ের সমাধান পাচ্ছে না। এভাবে সে ভেরখোভনা রাদার সাংবিধানিক অবস্থানকে অস্বীকার করছে।’
ইউক্রেনের সংবিধানকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখানোয় এখন জেলেনস্কির নেওয়া সব সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে মনে করছেন পুতিনের অন্যতম বিশ্বস্ত এই রাশিয়ান রাজনীতিবিদ, ‘জেলেনস্কি এবং তার সাথীদের এখন ইউক্রেনের আইন অনুযায়ী বিচার করতে হবে। তারা যেসব ডিক্রি জারি করে সেগুলো অবৈধ। এগুলো কার্যকর করা যাবে না। যেসব কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিচ্ছে তারা, সেসব কর্মকর্তারা কর্তৃপক্ষ নয়। এসব প্রতারকদের কোনো আদেশ দেওয়ার অধিকার নেই।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। যার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ লেগে যায়। দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো সে যুদ্ধ চলছে। তবে এই যুদ্ধ এখন আর শুধু ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। পশ্চিমারা ইউক্রেনকে অস্ত্রসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার ফলে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হচ্ছে।