সৌদি যুবরাজের সঙ্গে যে আলোচনা হলো জেলেনস্কির
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার জেদ্দায় এক বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি আরব যান। জেদ্দা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মক্কার ডেপুটি গভর্নর সৌদ বিন মিশাল বিন আবদুল আজিজ। পরে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জেদ্দায় বৈঠকে সৌদি আরব ও ইউক্রেনের মধ্যকার সম্পর্ক ছাড়াও ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এসপিএ—এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সৌদির আগ্রহ ও সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময় উভয়ের মধ্যে সংকটের ফলে মানবিক প্রভাবগুলো নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদির এই প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ নিজ স্বার্থে বিশেষ করে ইউক্রেনের জন্য ব্যবহারে সম্মত হতে পারে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ৭ দেশের জোট জি-৭। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো প্রতিবছর ইউক্রেনের জন্য ৫ হাজার কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলার পরিকল্পনা করেছে জোটটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুসারে—রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা জি-৭ ভুক্ত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে থাকা ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সম্পদের সুদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ আকারে দেওয়া হবে। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো পর্যায়ক্রমে এসব সম্পদ জব্দ করে।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, কোনো দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা সম্পত্তি ইউক্রেনকে দিতে পারবে না। কিন্তু জি-৭ যদি এই পরিকল্পনা পাশ করে, তবে হয়তো সরাসরি না দিলেও সেই সম্পদ থেকে অর্জিত সুদ ইউক্রেনকে দেওয়া সম্ভব হবে যা দেশটিকে রণক্ষেত্রে দারুণ সুবিধা দেবে।