ইসরাইলই গাজায় যুদ্ধবিরতির পথে অন্তরায়: হামাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
লেবাননে হামাসের সিনিয়র প্রতিনিধি ওসামা হামদান। ছবি- তেহরান টাইমস।
গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন ও গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাস। আক্ষেপ প্রকাশ করে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কেবল জটিলতা বাড়াচ্ছেন, সমাধানের চেষ্টা করছেন না।
মঙ্গলবার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার ব্যাপারে হামাসের দেওয়া প্রস্তাব ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করার পর সংগঠনটি এ প্রতিক্রিয়া জানাল।
লেবাননে হামাসের সিনিয়র প্রতিনিধি ওসামা হামদান বুধবার এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, দখলদার ইসরাইল-ই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পথে প্রধান অন্তরায়।
এদিন আল-আরাবি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছি, যে পক্ষটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের উত্থাপিত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে, সেটি ইসরাইল।'
এছাড়া ‘মার্কিন প্রশাসন গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য যেকোনো শক্ত প্রতিশ্রুতি এড়িয়ে যেতে ইসরাইলকে সহযোগিতা করছ‘ বলেও মন্তব্য করেন হামদান।
গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে হামাসের প্রস্তাব ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাখ্যান করে হামাসের এই জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি বলেন, ‘ব্লিঙ্কেন আসলে কোনো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন না, বরং তিনি নিজেই সমস্যাকে জটিল করছেন। তিনি মূলত সমস্যার একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।’
হামাসের এই নেতা বলেন, যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব মার্কিন প্রেসিডেন্ট তুলে ধরেছেন এবং যেটি প্রস্তাব আকারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে, সেটির ব্যাপারে ওয়াশিংটন দাবি করছে যে, ইসরাইল তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমরা তেল আবিবের পক্ষ থেকে তেমন কোনো বক্তব্য শুনিনি। বরং ইসরাইল বারবার স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এড়িয়ে যাচ্ছে।
হামদান বলেন, ইসরাইল মূলত সামান্য যুদ্ধবিরতি দিয়ে নিজের পণবন্দিদের মুক্ত করে আবার গণহত্যা শুরু করতে চায়। কিন্তু হামাস তা হতে দেবে না।
হামাসের লেবানন প্রতিনিধি আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধের পর গাজায় কী হবে, ব্লিঙ্কেন বারবার সে পরিকল্পনা তুলে ধরছেন। কিন্তু যুদ্ধের পর গাজায় কী হবে- সেটি ফিলিস্তিনিরা তার কাছে জিজ্ঞাসা করবে না। বরং সেটি একান্তই ফিলিস্তিনিদের ব্যাপার এবং তারাই সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেবে। তথ্যসূত্র: তেহরান টাইমস।