ভোট থেকে চড়কাণ্ড সবটা নিয়েই সংবাদের শিরোনামে এখন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন কঙ্গনা। বিভিন্ন সময়ে নানা বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হন ঠোঁটকাটা স্বভাবের এই অভিনেত্রী। এবার অভিনয় নিয়ে মন্তব্য করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি।
সম্প্রতি ‘দ্য হিমাচলি পডকাস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ জানান, রাজনীতির চেয়ে চলচ্চিত্রে কাজ করা অনেক সহজ। পাশাপাশি তিনি বলেন, অতীতেও নাকি অনেকবার তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছেন, ‘এই প্রথম নয় যে, আমাকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম।’
‘গ্যাংস্টার’-এর পর আমাকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রপিতামহ কম করে তিনবার বিধায়ক হয়েছিলেন। দেখুন, আপনি যদি এমন একটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন, যেখানে আপানার পরিবারের অন্য কেউ সাফল্য পেয়েছিলেন, সেখানে স্থানীয় নেতারা আপনার কাছে তো আসবেই এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে। এটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু আমি নয়, আমার বাবাও এই অফার পেয়েছিলেন। আমার দিদিও অ্যাসিড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তাকেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাই আমাদের কাছে রাজনৈতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়াটা এমন কিছু বড় কথা নয়...আমি যদি এতে আগ্রহী না হতাম, তা হলে আমাকে এত কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হতো না।’
কঙ্গনার চড় খাওয়া নিয়ে এবার মুখ খুললেন করণ জোহর
অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ফ্যাশনকে ফলো করেছিলাম। আর ছবির ক্ষেত্রে আমি যে শুধু অভিনয় করেছি, তেমনটা নয়, সঙ্গে লেখক, পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছি। সেখানেও যতটা একাত্ম হয়ে কাজ করেছি, এখানেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এখানেও আমাকে যদি মানুষের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দিতে হয়, সেভাবেই কাজ করব। তবে এটা আমি অস্বীকার করব না যে রাজনীতি অভিনয়ের তুলনায় বেশ কঠিন একটা বিষয়।’
প্রসঙ্গত, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে কঙ্গনা কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ৭৪,৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তবে ভোটে জেতার পরই তার সঙ্গে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত কাণ্ড। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের বিজেপির নবনির্বাচিত সংসদ কঙ্গনা রানাউতকে প্রকাশ্যে চড় মারার ঘটনাকে ঘিরে বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তাল স্যোশাল মিডিয়া।