রাস্তায় প্রকাশ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানী কোপেনহেগেনের কুলতরভেত শহরের রাস্তায় এক ব্যক্তি ফ্রেডেরিকসেনের দিকে হেঁটে আসেন এবং তার ওপর হামলা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কোপেনহেগেনের রাস্তায় প্রকাশ্যে হামলার শিকার হওয়ার পর ফ্রেডেরিকসেন ‘মর্মাহত’ হয়েছেন বলে তার কার্যালয় জানিয়েছে। শহরের কেন্দ্রস্থলের একটি চত্বরে তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। মূলত একজন লোক প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেনের কাছে এগিয়ে গিয়ে তাকে আঘাত করেন। ওই হামলাকারীকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন এই হামলাকে ‘ঘৃণ্য কাজ’ বলে অভিহিত করেছেন। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফ্রেডেরিকসেনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের কুলতরভেতে একজন ব্যক্তি আঘাত করেন। যাকে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় হতবাক হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশ্য এই ঘটনায় আরও বিস্তারিত কিছু জানায়নি। পুলিশ বলেছে, তারা একজনকে আটক করেছে এবং ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এর বেশি কিছু জানায়নি তারাও। হামলার উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। এদিকে মারি আদ্রিয়ান এবং আনা রাভন নামে দুজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সংবাদপত্র বিটিকে বলেছেন, তারা ওই হামলার ঘটনা দেখেছেন। ওই দুই নারী সংবাদপত্রকে বলেছেন, ‘একজন লোক বিপরীত দিক দিয়ে এসে তার (প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের) কাঁধে সজোরে ধাক্কা দেয়, যার ফলে তিনি এক পাশে পড়ে যান। তারা আরও বলেন, ‘ধাক্কাটি বেশ জোরালো’ হলেও প্রধানমন্ত্রী মাটিতে পড়ে যাননি।
ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডেনমার্কের ভোটের দুদিন আগে এই হামলার ঘটনা ঘটল। ডেনমার্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা মেটে ফ্রেডেরিকসেন এর আগে তার দলের প্রধান প্রার্থী ক্রিস্টেল শ্যালডেমোসের সাথে ইউরোপীয় নির্বাচনি ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। ডেনমার্কের জোট সরকারের সবচেয়ে বড় দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। তারা এখনো নির্বাচনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের সমর্থন অনেকটাই কমে গেছে।
এর আগে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো সমর্থকদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় হামলার শিকার হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। সেই হামলার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটল। স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সেই হামলায় বেঁচে গেছেন এবং তাকে অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে।