কানাডার তালিকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম 'বিদেশি বিপদ' ভারত!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৬:১২ পিএম
মোদির সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ছবি-হিন্দুস্তান টাইমস
'কানাডার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়ার জন্য ভারত দ্বিতীয়-সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে'। সম্প্রতি এমনই দাবি করা হল কানাডার সংসদ সদস্যদের জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কমিটির প্রতিবেদনে।
এর আগে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল রাশিয়া। সেই রাশিয়াকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত।
কয়েক মাস আগে কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস একটি তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সে দেশের গত দু'টি নির্বাচনে নাক গলিয়েছিল চীন। উল্লেখযোগ্যভাবে ওই দুই নির্বাচনেই জয়ী হন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই আবহে এখনও 'বিদেশি বিপদের' তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।
সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, কানাডার নির্বাচনে নাকি নাক গলিয়ে থাকতে পারে ভারত ও পাকিস্তানও। তবে কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের বর্ষীয়ান সাংবাদিক স্টিভেন চেজ একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেন, ২০২১ সালের ভোটে বিদেশি প্রভাব নিয়ে তদন্ত করা সংসদীয় কমিটিকে ভারতের যোগ থাকার কোনো তথ্য দেয়নি তদন্তকারীরা। তারপরেও বিদেশি বিপদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ভারত।
২০২৩ সালের জুনে কানাডা প্রবাসী খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন ভ্যানকুভারে। সেই ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর জি-২০ বৈঠকে অংশ নিতে ভারতে আসেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে খালিস্তানি আন্দোলনকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে যান তিনি। সেই ঘটনার সঙ্গে ভারতের যোগ থাকার 'বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ' নিয়ে কানাডার সংসদে মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এরপরই কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
এসবের মাঝেই কানাডার তরফ থেকে ভারতের এক হাইকমিশন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়। জবাবে ভারতও কানাডার এক হাইমকমিশন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে। পরে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ভারত ছাড়তে বলে ভারতের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে ভারতের দাবি মেনে কূটনীতিকদের ভারত থেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কানাডা।
কানাডায় বেড়ে চলা ভারত বিরোধী আন্দোলন নিয়ে একাধিকবার জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের সঙ্গে কথা বলে দিল্লি। তবে বাক-স্বাধীনতার নামে খালিস্তানিদের থামানোর চেষ্টা করেননি ট্রুডো। এমনকি ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার দৃশ্য ট্যাবলো আকারে দেখানো হয়েছে সেখানকার সড়কে। তবে চুপ থেকেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার।
এরই মাঝে কানাডার মাটিতে ভারতীয় পতাকার চরম অপমান করা হয়। অপরদিকে কানাডা সরকার আবার নিজ দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে জানায়, ভারতে এলে হেনস্থার শিকার হতে পারেন তারা। এই পরিস্থিতিতে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত। পরে অবশ্য ফের সেই পরিষেবা চালু হয়।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।