মোদির সঙ্গে আলাপরত চন্দ্রবাবু নাইডু। ছবি- হিন্দুস্তান টাইমস
ভারতের নতুন সরকারের শপথ শনিবার গ্রহণের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে। সব ঠিকঠাক চললে শনিবার নয়, রোববারই তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর মোদির শপথের দিনক্ষণ পেছাতেই স্থগিত হয়ে গেল তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর শপথও। এমনটাই জানাচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
জানা গেছে, ৯ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে শপথ নিতে পারেন মোদি। এ কারণেই মূলত স্থগিত হয়ে গেল চন্দ্রবাবু নাইডুর শপথ।
জানা যায়, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রোববার শপথ নেওয়ার কথা ছিল তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর। আর তার আগের দিনই শপথ নেওয়ার কথা ছিল মোদির।
তবে এখন ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মোদি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১২ জুন শপথ নিতে পারেন চন্দ্রবাবু।
মঙ্গলবার দেশটির ৫৪৩টি আসনের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯২টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। অন্যান্য দলের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ১৮টি।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো- এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতো এবার আর এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। কারণ, ৫৪৫ আসনের (দু’টি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। বিজেপি এককভাবে জিতেছে ২৪০টি। তাই সরকার গঠন করতে তাদের শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবারই এনডিএ শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেন মোদি, অমিত শাহরা। দিল্লিতেই বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদেরও।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এখন এনডিএ শরিকদের ভরসায় সরকার গড়তে হচ্ছে মোদিকে। এই পরিস্থিতিতে কোনো একটি শরিক দল যদি বেঁকে বসে, তাহলে সমীকরণ বদলে যেতে পারে।
অনেকের মতে, সেই কারণেই বেশি সময় নিতে চাইছেন না মোদি। যদিও বৃহস্পতিবার দুপুরেই জানা গেল শপথের দিন বদলের খবর। তবে ঠিক কী কারণে তা পেছাল- সে বিষয়ে স্পষ্ট করে জানা যায়নি কিছু। সূত্র- এনডিটিভি।