ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার মোট ৭৮ জন মুসলিম প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন ভোটে জয়ী হয়েছেন। জয়ী মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে ভারতের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানও রয়েছেন।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসনে হারিয়েছেন কংগ্রসের রাজ্য সভাপতি ছয়বারের সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। জয়ের ব্যবধান ৮৫ হাজার ভোট।
মুসলিম প্রার্থীদের মধ্যে আরও যারা জিতেছেন তাদের মধ্যে আছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান মাসুদ। তিনি উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর আসনে ৬৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পান।
সমাজবাদী পার্টির তরুণ নেতা ২৯ বছর বয়সি ইকরা চৌধুরী উত্তর প্রদেশের কাইরানা আসনে বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমারকে ৬৯ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান।
একই রাজ্যের আরেক আসন গাজিপুরে জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির মুসলিম প্রার্থী আফজাল আনসারি।
এআইএমআইএম সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদে নিজের আসনটি ধরে রেখেছেন। তিনি বিজেপির মাধবী লতা কম্পেলাকে হারান।
লাদাখে স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থী মোহাম্মদ হানাফি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা আসনে আরেক স্বতন্ত্র মুসলিম প্রার্থী আবদুল রশিদ শেখ ৪ লাখ ৭০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।
উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী মহিবুল্লাহ রামপুর আসনে ৪ লাখ ৮১ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। সাম্ভাল আসনে জেতেন জিয়াউর রেহমান।
ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী মিয়া আলতাফ আহমদ জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি আসনে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে হারিয়ে দেন। শ্রীনগরে এনসি প্রার্থী আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহদি জয়ী হয়েছেন।
দেড় মাস ধরে সাত দফায় ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফলে বিজেপি ২৪০ ও কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয়ী হয়। এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২ আসন পেতে বিজেপির আরও ৩২টি আসনের প্রয়োজন ছিল। তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন।