ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ১৩৯ বছরের পুরোনো দল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট জয়ী হলেও নজর কেড়েছে কংগ্রেসের ফলাফল।
ভারতের এক সময়ের সবচেয়ে বড় এবং পুরোনো এই দলটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছিল। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার প্রবলভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে দলটি। যার বড় কৃতিত্ব দলটির তরুণ নেতা রাহুল গান্ধীর। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৯৯ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। শেষবার কংগ্রেস আসনের নিরিখে তিন সংখ্যা পার করেছিল ২০০৯ সালে। সেই বছর ২০৬ আসনে জয়ী হয়েছিল। এরপর বিগত দুটি লোকসভা নির্বাচনেই বিজেপি যেখানে দারুণ ফল করেছিল, সেখানেই ক্রমাগত অবনতি হয়েছিল কংগ্রেসের।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ৪৪টি আসন এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫২টি আসন পেয়েছিল দলটি। যে হিন্দি বলয় থেকে ভোট হারিয়েছিল ২০২৪ সালের নির্বাচনে সেখানেই আবার ধীরে ধীরে উত্থান হয়েছে কংগ্রেসের। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে অনেকটা।
তেলঙ্গানা ও কর্নাটকে শাসক দল হওয়ার সুবিধাও কিছুটা হলেও পেয়েছে কংগ্রেস। বিহারে ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। এমনকি নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটেও একটি আসন ছিনিয়ে নিতে পেরেছে কংগ্রেস।
এছাড়া পাঞ্জাবেও তুলনামূলকভাবে ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। রাজ্যটির শাসক দল আম আদমি পার্টি যেখানে তিনটি আসন পেয়েছে, সেখানেই কংগ্রেস জয়ী হয়েছে সাতটি আসনে। এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো বিজেপির একার পক্ষে সরকার গঠন অসম্ভব হওয়ায় এ সুযোগও নিতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইনডিয়া জোট।
বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়গে বলেছেন, তারা জোটের বৈঠকে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
এদিকে রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস উঠে আসায় রাহুলের প্রশংসা করেছেন তারই বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধী প্রেম, সত্য এবং উদারতার সঙ্গে লড়াই করেছেন। সবার চেয়ে সাহসী নেতা তিনি।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেছেন, ‘মিথ্যার অপ্রতিরোধ্য প্রচারের শিকার হওয়া সত্ত্বেও রাহুল কখনোই দমে যাননি এবং সত্যের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন।’
নরেন্দ্র মোদি কি জোট সরকার চালাতে পারবেন?