Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু, কী কী চাইবেন নিতীশ?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম

বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষি শুরু, কী কী চাইবেন নিতীশ?

নিতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদি।ছবি- সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার গঠনের জন্য জোটসঙ্গীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির। আর এতেই ‘দর’ বেড়ে গেছে নিতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো নেতাদের। 

সেই সুযোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে ‘দর কষাকষি’ শুরু করেছেন নিতীশ কুমার। 

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ বাড়ানোর জন্য দাবি জানাবেন তিনি। এমনকি চারটি মন্ত্রণালয়ও দাবি করবেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি বিহারে দ্রুত নির্বাচনেরও দাবি জানাতে চলেছেন নিতীশ কুমার।

লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই ভারতীয় রাজনীতিতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নাম নিতীশ কুমার। লোকসভা নির্বাচনের পর নীতীশ তুমি কার? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতীয় রাজনীতিতে। নিতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) যে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে আছে- সেকথা বলাই বাহুল্য। 

তবে নীতীশ কুমার বরাবরই রাজনীতিতে নিজের এবং দলের স্বার্থ ছাড়া কোনো কিছুই করেন না। আর বিজেপি ব্যাকফুটে যেতেই পাল্টা তাদের সঙ্গে এবার দর কষাকষি শুরু করে দিলেন নিতীশ কুমার। নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে আনতে, পাল্টা নিতীশ দাবি করতে চলেছেন ৪ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ।

জেডিইউ-এর হাতে রয়েছে ১২ জন সাংসদ। অন্ধ্র প্রদেশের টিডিপিও সমর্থন দিতে চলেছে বিজেপিকে। কিন্তু সমস্যা তৈরি করতে চলেছেন নিতীশ কুমার। 

এক নিতীশ কুমার যদি ১২টি আসনের জন্য এতো কিছু চান, সেক্ষেত্রে চন্দ্রবাবু নাইডুও যে বসে থাকবেন না, তা বলাই বাহুল্য। নির্বাচনের আগেই অবশ্য জেডিইউকে জানানো হয়েছিল, তাদের তিনটি ক্যাবিনেট মন্ত্রণালয় এবং একটি রাষ্ট্রমন্ত্রী দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আরও একটি রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ জেডিইউ বাড়াতে চাইছে, পাশাপাশি চাইছে চারটি ক্যাবিনেট মন্ত্রণালয়।

নিতীশ কুমারের দলের এক শীর্ষনেতা জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গ্রামোন্নয়নের মতো মন্ত্রণালয় চান তারা। যাতে রাজ্যের জন্য উন্নতি করতে পারেন।

বিহারে গত ১৮ বছরে ভালো উন্নতির চেষ্টা চালিয়েছে নিতীশ কুমারের সরকার। সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই এতগুলো মন্ত্রণালয় চাইছেন তারা। পাশাপাশি লোকসভা ভোটে বিহারে জেডিইউ এবং বিজেপির জোটের ভালো ফলের পর নিতীশ কুমার চাইছেন, এই হাওয়াকে কাজে লাগিয়েই সেখানে দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন করতে। যাতে জয়ের ব্যাপারে অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারেন তারা। 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিতীশ কুমার আরজেডি ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে ফের বিহারে সরকার গঠন করেন। এরপর থেকেই সেখানে দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরব হয়েছে এনডিএ জোটের শরীক দলগুলো। ২০২৫ সালের নভেম্বরে বিহারের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে আরও একটা দাবি করতে চলেছেন- আর সেটা হল রাজ্যের জন্য আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। বিহারে ৯৪ লাখ গরিব পরিবারকে ২ লাখ করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জেডিইউ, সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করতে চলেছেন তারা। 

বিহার সরকার আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পরিবারের জন্য আড়াই লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই অর্থের জোগানে যাতে টান না পড়ে এবং রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষ যাতে পর্যাপ্ত সাহায্য পান, সেই লক্ষ্যেই অনড় জেডিইউ। 

উন্নয়নের জন্য বিহারকে যাতে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করতে চলেছে নিতীশ কুমারের দল। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দর কষাকষিতে এগিয়ে থাকতে পারলে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে জেডিইউ।
তথ্যসূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম