বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গেই আছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই ইন্ডিয়াকে সাহায্য করব, ওখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি চেষ্টা করব যাতে মোদীকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে পারি।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী।
এর আগে ভোটের মাঝপথে তিনি আচমকাই বলেছিলেন, বিরোধী জোট যদি জেতার মতো অবস্থায় চলে আসে, তাহলে তিনি ইন্ডিয়াকে ‘বাইরে থেকে’ সমর্থন করে দেবেন।
তখন থেকেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস কি আদৌ ইন্ডিয়ার শরিক? কিংবা নির্বাচনের পরে কি তারা আদৌ ইন্ডিয়ার অংশ থাকবে?
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ হলো এমন একটি রাজ্য যেখানে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিকদের মধ্যে কোনো নির্বাচনি সমঝোতা হয়নি।
রাজ্যের ৪২টি আসনেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও বামপন্থীদের জোট প্রার্থী দিয়েছিল। কেরালাতে আবার কংগ্রেস ও বামপন্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধেও লড়েছে। অথচ ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠনের সময় মমতা ব্যানার্জী ছিলেন সব চেয়ে সক্রিয় শরিকদের একজন। তিনি বহুবার প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন, এমনকি ‘ইন্ডিয়া’ নামটিও নাকি তার মাথা থেকেই প্রথম বেরিয়েছিল।
এখন মঙ্গলবার রাতে এসে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া জোটের মূল শরিক দলগুলোর মধ্যে তৃণমূল সম্ভবত তৃতীয় শক্তিশালী দল হতে যাচ্ছে।
তারা যদি শেষ পর্যন্ত ২৯টি আসন পায়, তাহলে তৃণমূলের অবস্থান হবে কংগ্রেস (৯৯) ও সমাজবাদী পার্টির (৩৭) ঠিক পরেই।
ফলে এখনকার বিরোধীরা যদি সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তৃণমূলকে অবধারিতভাবে তাতে একটা সক্রিয় ভূমিকা নিতেই হবে।
জোটে তিনি আসলে আছেন কি নেই, তা নিয়ে গত বেশ কয়েক মাস ধরে রীতিমতো ধোঁয়াশা রাখার পর ভোটগণনার দিন সন্ধ্যায় এসে মমতা ব্যানার্জী অবশেষে স্পষ্ট করে দিলেন– তার দলের সমর্থন ইন্ডিয়াই পাবে।