Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হেরে গেলেন স্মৃতি ইরানি

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম

হেরে গেলেন স্মৃতি ইরানি

ফাইল ছবি

উত্তরপ্রদেশের আমেথি লোকসভা কেন্দ্রের হারানো আসন ফিরে পেয়েছে কংগ্রেস। এক সময় এই আমেথি কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল।  খবর এনডিটিভির। 
তবে ২০১৯ সালে পালাবদল ঘটে। রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে ওই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। 

তবে এবার তিনি হেরে গেলেন গান্ধী পরিবারের অনুগত কিশোরীলাল শর্মার কাছে।

সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্মৃতি ইরানি এক লাখ ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে কিশোরীলাল শর্মার কাছে হেরেছেন।

প্রথমবারই নির্বাচনে বাজিমাত, যা বললেন কঙ্গনা

আমেথির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্ক অনেক পুরনো। ১৯৭৭ সালে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের এই আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন রাজীব গান্ধীর ভাই সঞ্জয়। 

দিল্লির মসনদে তখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। তবে তার গদি ছিল টলমল। দেশজুড়ে বইতে শুরু করে ইন্দিরাবিরোধী হাওয়া। সেই হাওয়ায় ধাক্কা খান সঞ্জয়। হেরে যান তিনি।

তবে তিন বছর পর ১৯৮০-র লোকসভা ভোটে আমেথির আসনে জয় পেয়েছিলেন সঞ্জয়।

বিমান দুর্ঘটনায় সঞ্জয়ের অকালমৃত্যুর পরে ১৯৮১-র উপনির্বাচন হয় অমেথীতে। সেই নির্বাচনে জয় পান রাজীব। ১৯৯১ সালের লোকসভা ভোটপর্বের মাঝে এলটিটিই-র মানববোমায় রাজীবের মৃত্যুর পরে আমেথি থেকে কংগ্রেস রাজীব-ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মাকে প্রার্থী করে। জয় পান তিনি।

এরপরে ১৯৯৬-এর ভোটে অমেথি থেকে সতীশ জিতলেও ১৯৯৮ সালে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পর আবার হাওয়া বদলাতে শুরু করে অমেথিতে।

১৯৯৯ সালে আমেথিতে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি রাজনীতিতে পদার্পণ করেছিলেন রাজীব-পত্নী সোনিয়া গান্ধী। তারপর থেকে এই কেন্দ্রে টানা জয় পেয়েছে কংগ্রেস। শুধু আমেথি নয়, উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী লোকসভা কেন্দ্রেও কংগ্রেস তথা গান্ধী পরিবারের প্রভাব ছিল। 

আর এই দুই কেন্দ্রের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের যোগসূত্র ছিলেন কিশোরীলাল। ১৯৯৯ সালে আমেথিতে সোনিয়ার ‘ইলেকশন ম্যানেজার’ ছিলেন কিশোরীলাল। তারপর থেকে অমেথী রাজনীতিতে ক্রমশ উজ্জ্বল হতে থাকেন তিনি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম