Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

রাইসির প্রতি জাতিসংঘের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৬:২১ পিএম

রাইসির প্রতি জাতিসংঘের শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের!

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রতি জাতিসংঘের শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান বয়কট করবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতিসংঘ। এ সময় রাইসিকে নিয়ে একটি বক্তৃতা দেওয়া হবে। চলতি মাসের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানি প্রেসিডেন্ট। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। ওই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব না। কয়েক দশক ধরে চলা এই নিপীড়কের স্মৃতিচারণ না করে বরং জাতিসংঘের উচিত ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি আরও বলেন, রাইসি ১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিদের বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ অসংখ্য ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য কিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তার আমলে ঘটেছিল। বিশেষ করে ইরানের নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে।

এর আগে কোনো নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠান বয়কট করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানি মিশন।

ঐতিহ্যগতভাবে কোনো রাষ্ট্রের প্রধান থাকাকালীন কোনো বিশ্বনেতার মৃত্যু হলে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্য একসঙ্গে মিলিত হয়।

একজন কট্টরপন্থি নেতা ছিলেন রাইসি। তাকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে অনেকে বিবেচনা করতেন। ১৯ মে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজারবাইজান সীমান্তের কাছে পাহাড়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ২০ মে নীরবতা পালন করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এ সময় জাতিসংঘে ডেপুটি মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তার ১৪ জন প্রতিপক্ষসহ অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন।

২০ মে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাইসির মৃত্যুতে ‘সরকারিভাবে শোক’ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবিও সেদিন বলেছিলেন, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই যে তিনি এমন এক ব্যক্তি যার হাতে প্রচুর রক্ত লেগে ছিল।

ইরানের প্রতি সমবেদনা জানানোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন কংগ্রেসের কিছু রিপাবলিকান সদস্য।

৬৩ বছর বয়সি রাইসি ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসেই নৈতিকতা আইন কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী সহিংসতার তদারকি করেছিলেন এবং বৈশ্বিক শক্তির সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় কঠোর চাপ দিয়েছিলেন।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম