Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

উত্তর কোরিয়ার ময়লাভর্তি বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায়

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৯:১৮ পিএম

উত্তর কোরিয়ার ময়লাভর্তি বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ায়

দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই শতাধিক ময়লাভর্তি বেলুন পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় মিডিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

জানা যায়, সাদা রঙের সেই বেলুনগুলোতে আবর্জনা, টয়লেট পেপার এবং সন্দেহজনক প্রাণীর মল ছিল। উত্তর কোরিয়ার এমন কার্যকলাপে চরম  ক্ষেপেছে দক্ষিণ কোরিয়া। 

সিউলের সামরিক বাহিনী পিয়ংইয়ংয়ের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘নিম্ন শ্রেণি’র বলেও নিন্দা করেছে। পাশাপাশি সীমান্তের কাছাকাছি থাকা স্থানীয় নাগরিকদের সতর্কও করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হওয়া উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করায়ই দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর এ প্রতিশোধমূলক আচরণ নিয়েছে দেশটি। আলজাজিরা, এএফপি।

উত্তর কোরিয়ার সেই বেলুনগুলো জিওংগি-গ্যাংওন সীমান্ত এলাকায় শনাক্ত করা হয়েছে। এরপরই সামরিক বাহিনী ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। পাশাপাশি নাগরিকদের বেলুন থেকে দূরে থাকতে এবং স্পর্শ না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। 

সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, উত্তরের পদক্ষেপগুলো স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং আমাদের জনগণের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে হুমকির সম্মুখীন করে। আমরা উত্তরকে অবিলম্বে তার অমানবিক এবং নিম্ন শ্রেণির কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করছি। 

মঙ্গলবার গভীর রাতে গিয়াংগি প্রদেশের বাসিন্দাদের জন্য একটি টেক্সট বার্তা জারি করে কর্তৃপক্ষ জানায়, বাইরের বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং (উত্তর কোরিয়া থেকে আসা বস্তু) চিহ্নিত হলে সামরিক ঘাঁটিতে রিপোর্ট করুন। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বেলুনে উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রোপাগান্ডা লিফলেট আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, ১৯৫০-এর দশকে কোরিয়া যুদ্ধের সময় থেকেই উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই নিজেদের পক্ষে প্রোপাগান্ডা চালাতে এভাবে গ্যাস বেলুন ব্যবহার করে আসছে। সর্বশেষ এই ঘটনার কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল যে, দক্ষিণ কোরিয়ার আন্দোলন কর্মীরা সীমান্ত এলাকায় ঘন ঘন লিফলেট এবং অন্যান্য আবর্জনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম