গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতার বিষয়ে জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তাদের ইসরাইলের চালানো নৃশংসতার সহযোগী বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

এরদোগান বলেন, যদি একুশ শতাব্দীতে এসে একটি গণহত্যা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে এই সংস্থার ভালো দিক কী। জাতিসংঘ এমনকি তার নিজেদের কর্মীদেরও রক্ষা করতে পারে না। আপনি কিসের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন? গাজায় জাতিসংঘের চেতনা মরে গেছে। 

এরদোগান বলেন, নীরবতা পালনের মাধ্যমে ইসরাইলের ভ্যাম্পাইরিজমের সহযোগীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় সরকারপ্রধানরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রক্তে রঞ্জিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গাজায় হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করছেন এরদোগান। ইসরাইলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। সম্প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করেন এরদোগান।

এদিকে গাজায় আর কোনো স্থানই এখন নিরাপদ নয়। যেসব এলাকা নিরাপদ ভেবে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল সেসব স্থানেও হামলা চালানো হচ্ছে। রাফার পশ্চিমাঞ্চলে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত একটি তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনই নারী এবং কিশোরী।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল। এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডবে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

সূত্র: আল-জাজিরা