গতকাল রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি; কিন্তু ভারি কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মোখবারের নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।
আগামী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করবে ইরান। এসব কিছুই হতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমোদনসাপেক্ষে।
ইরানের আঞ্চলিক নীতিমালা খামেনির হাতেই নির্ধারিত হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারও একই আদর্শের অনুসারী। তিনিও রাইসির মতো খামেনির ঘনিষ্ঠ।
অতএব ইরানের আঞ্চলিক নীতি অপরিবর্তিতই থাকবে। রাইসির মৃত্যু কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর মতো প্রভাব তৈরি করার কথা নয়। সোলেইমানি আঞ্চলিক রাজনীতির পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তার মৃত্যুতে ইরান এবং তার আঞ্চলিক মিত্ররা বিশেষ করে হিজবুল্লাহ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর কী হবে, বুঝে উঠতে পারছিল না তারা। পরে অবশ্য অবস্থান পাল্টে নিজেদের ক্ষমতা রক্ষায় মনোযোগী হয়েছিল তারা।