
প্রিন্ট: ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ এএম
দুর্ঘটনার পরও এক ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন ইমাম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম

আরও পড়ুন
বিধ্বস্ত হওয়া ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিতে তিন জন কর্মকর্তা, একজন ইমাম, ফ্লাইট ও নিরাপত্তা দলের সদস্যসহ ৯ জন ছিলেন।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এআরজিসি পরিচালিত মিডিয়া আউটলেট সেপাহ জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজের জুমার নামাজ ইমাম মোহাম্মদ আলী আলেহাশেমের পাশাপাশি একজন পাইলট, কো-পাইলট, ক্রু প্রধান, নিরাপত্তা প্রধান এবং অন্য একজন দেহরক্ষী ছিলেন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটিতে।
হেলিকপ্টার আরোহীদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ আলী আল-হাশেম। যিনি তাবরিজের জুমার ইমাম ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি।
ইরানের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’র প্রধান মোহাম্মদ নামির মতে, আল হাশেম দুর্ঘটনার পরেও পুরো একটি ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন। এমনকি তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বলেন, আরোহীদের সনাক্ত করতে কোনো ডিএনএন টেস্টের প্রয়োজন নেই। ক্রুসহ সর্বমোট নয়জন এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি; কিন্তু ভারি কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।
বিবিসি