
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের থাকা সব কর্মকর্তারা মারা গেছেন। দেশটির আধা সরকারি নিউজ এজেন্সি মেহের নিউজ এ খবর দিয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর আজ সোমবার ইরানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী বেঁচে নেই। অর্থাৎ মারা গেছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান এবং আরও দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।
রাইসি ও আব্দোল্লাহিয়ান যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করছিলেন। বিবিসি জানায়, ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কাছে এমন কোনো হেলিকপ্টার বিক্রি করেনি যুক্তরাষ্ট্র। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।
এর আগেও আকাশপথে দুর্ঘটনায় দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে প্রতিরক্ষা ও পরিবহনমন্ত্রী, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
বেল হেলিকপ্টার তার সর্বশেষ সংস্করণ, সুবারু বেল-৪১২ এর বিজ্ঞাপনে বলছে- পুলিশের জন্য, চিকিৎসার কাজে, সৈন্য পরিবহনে, জ্বালানি শিল্প এবং অগ্নিনির্বাপণের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সিকে প্রদত্ত টাইপ সার্টিফিকেশন নথি অনুসারে, হেলিকপ্টারটি ক্রু সহ ১৫ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
ফ্লাইটগ্লোবালের ওয়ার্ল্ড এয়ার ফোর্সেস ডিরেক্টরি- ২০২৪ অনুসারে, ইরানের সরকার কতোটি এই মডেলের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সেটি স্পষ্ট না হলেও দেশটির বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর কাছে মোট ১০ টি এই মডেলের হেলিকপ্টার রয়েছে।
পল বিভার নামে একজন উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক হেলিকপ্টার পাইলট বলেছেন, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে ‘অবশ্যই’ মেঘের আচ্ছাদন, কুয়াশা, জলীয় বাষ্প এবং নিম্ন তাপমাত্রা ভূমিকা রেখেছে।
আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, হেলিকপ্টারগুলো ফিক্সড-উইং প্লেনের মতো বিরূপ আবহাওয়ায় সহজে উড়তে পারে না। হেলিকপ্টারে সেই সুবিধা নেই।